হাসপাতালে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত বা মাঙ্কি পক্স হতে পারে, এই সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীর চিকিৎসায় কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে? বিজ্ঞপ্তি জারি করল অল ইন্ডিয়া ইন্সটিট্যিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমস।
হাসপাতালে যদি কোন-ও রোগী জ্বর, র্যাশ বা মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস নিয়ে ভর্তি হন, তাহলে শুরুতেই তৎপর হতে হবে। মাঙ্কি পক্ষ-এর মূল উপসর্গগুলি চিহ্নিত করতে হবে, যেমন– জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, লিমফ নোড ফুলে যাওয়া, কাঁপুনি, ক্লান্তি ও ত্বকে র্যাশ।
advertisement
মাঙ্কি পক্স সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীকে শুরুতেই আইসোলেশনে রাখতে হবে। এইমস দিল্লির হাসপাতালের যে বেডগুলি মাঙ্কি পক্স সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য সংরক্ষিত–33, 34, 35, 36, 37। এমার্জেন্সির সিএমও বলার পর এই বেড মাঙ্কি পক্স সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীকে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে রোগীকে রাখা হবে মেডিসিন বিভাগ AB-7-এ, সেখান থেকে পাঠানো হবে সফদরজং হাসপাতালে।
রোগী মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে Integrated Diseade Surveillance Programme- এর আধিকারিকদের সঙ্গে ৮৭৪৫০১১৭৮৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। জানাতে হবে রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন? রোগীর যোগাযোগ নম্বর ও ঠিকানা ।
মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের চিকিৎসা হবে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। মাঙ্কি পক্স হতে পারে, এমন কোনও রোগী হাসপাতালে এলে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হবে। রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। আপৎকালীন বিভাগে কর্মরত কর্মীদের ৮৯২৯৬৮৩৮৯৮ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স কো-অর্ডিনেটরকে জানাতে হবে। পিপিই কিট পরে রোগীর চিকিৎসা করা বাধ্যতামূলক। গোটা চিকিৎসাপদ্ধতির ডকুমেন্টেশন রাখতে হবে।
মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা, তাদের বাস মূলত রেন ফরেস্টে। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে শরীরে র্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মেলে। তারপর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন ভারতেও এই রোগ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।