কর্তব্যরত অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। শহর, রাজ্য তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে রীতিমতো কর্মবিরতি পালন করেছেন।
advertisement
নারী নির্যাতন বিশেষত যৌন হেনস্তার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে আরও কড়া আইন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরেছেন দলমত নির্বিশেষে রাজনীতিকরা। ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন।
এদিনের সভায় আর জি করের নাম না নিয়েও নারীবিরোধী অপরাধে কড়া শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনের কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “নাবালক-নাবালিকাদের উপর যৌন হেনস্তার মতো ঘটনার শাস্তি হিসেবে এখনকার আইনে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব ছাড়াও তাদের উপর নানাধরনের হিংসার ঘটনা ঘটে। কোন অপরাধে কী শাস্তি, তা নির্দিষ্ট করা নেই।”
“তবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়তা স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, মহিলাদের উপর সবরকম অত্যাচার বন্ধ করে রাজ্য সরকারগুলির পদক্ষেপে পাশে আছে কেন্দ্র। আমাদের সরকার অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।”