মোদি নিজের ট্যুইটে জানিয়েছেন জার্মানি ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন দিক নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক তালিবানের দখলে থাকা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যখন বিশ্বের বিভিন্ন দিকে কার্যত কূটনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে সেই জায়গা থেকে ভারত ও জার্মানির মতো দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে এমন আলোচনা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে, চিনের তরফে কার্যত স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে তালিবানের সঙ্গে তারা বন্ধুত্বপূ্র্ণ সম্পর্ক মেনে চলতে আগ্রহী। তবে আফগানিস্তানে মধ্যপন্থার ইসলামি ভাবনা চিন্তা থাকলে তবেই এই চিন তালিবানের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি বলে তালিবানকে এক বৈঠকে চিন জানিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে যে, চিনের উত্তরের একটি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোপন বৈঠকও হয়েছে। এদিকে চিন বা পাকিস্তানের মতো দেশ যেখানে তলিবানকে খোলাখুলি সমর্থন করছে, সেখানে ভারতের আবস্থান রীতিমতো প্রাসঙ্গিক। সেই জায়গা থেকে জার্মানির চ্যান্সেলারের সঙ্গে মোদির বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
এর আগে , তালিবানের নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী কার্যত ট্যুইটে চরমভাবে আক্রমণ করেন তালিবান শাসনকে। সেই ট্যুইটে তালিবানকে বিদ্ধ করে মোদি সাফ জানিয়েছিলেন, হিংসার শক্তি বলে তৈরি একটি সাম্রাজ্য কেবলই খানিকদিনের জন্য স্থায়ী হয়। তা পেশীশক্তির বলে কখনওই বেশি দিনের জন্য স্থায়ী হয় না। ট্যুইটে সাফ জানিয়েছেন যে, 'সন্ত্রাসের রাস্তা ধরে যে সাম্রাজ্য তৈরি হয়, তা কয়েকদিন হয়তো চলতে হতে পারে, তবে তা স্থায়ী হতে পারে না। বেশিদিন এরা মানবতাকে বন্ধ করে রাখতে পারে না। '