সাত দিন ধরে গুরুতর আহত ওই তরুণীর চিকিৎসা চলছিল। রাজ্যে মোবাইল বিস্ফোরণজনিত মৃত্যুর এটি প্রথম ঘটনা। যদিও এর আগেও মোবাইল বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে, কিন্তু ঠিক কোন কোম্পানির ফোন বিস্ফোরিত হয়েছিল, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ৭১-এর যুদ্ধে ভারত না কি শুধুমাত্র সহযোগী ছিল, এবার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা বাংলাদেশের!
advertisement
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি হিমাচল প্রদেশের চম্বার ডালহৌজির। ১০ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে। ডালহৌজির সালুনি এলাকার বিচুনি গ্রামের ২০ বছরের কিরণ মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে ইন্টারনেট চালু করেন এবং কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় আচমকা ফোনটি বোমার মতো বিস্ফোরিত হয় এবং তার কানের কাছে গুরুতর আঘাত লাগে। কিরণের মা চঞ্চল বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দোতলায় মেয়ের ঘরে ছুটে গিয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। মেয়েটির মুখের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল৷
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পরিবারের লোকেরা কোনও রকমে আহত কিরণকে সালুনির প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চম্বা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয় এবং পরে কিরণকে কাংড়ার টাণ্ডা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। চম্বা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডঃ বিশাল মহাজন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! কিশোর চালক পিষল পথচারীদের! চাকার হ্যাঁচকা টানে গাড়ির তলায় শিশু, দেখুন ভিডিও
টাণ্ডা মেডিকেল কলেজে সাত দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন কিরণ। কিন্তু রবিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মোবাইল বিস্ফোরণের পর কিরণ এতটাই আহত হয়েছিলেন যে তিনি কোনও বিবৃতিও দেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না। তাই কীভাবে মোবাইল বিস্ফোরণ ঘটল এবং এর পিছনের কারণ কী, তা পরিষ্কার হয়নি।
রবিবার টাণ্ডা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পরিবার কিরণের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
