লালরিনপুই বলেছেন, ‘আমাদের রাজ্যে এমনিতেই ভিক্ষুকের সংখ্যা কম। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, সাইরাং-সিহহমুই রেলপথ চালু হওয়ার পর ভিন রাজ্য ভিক্ষুকরা এখানে এসে ভিড় করতে পারে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রেললাইন উদ্বোধন করবেন। তার আগেই আইনি কাঠামো তৈরি করে রাখতে চাইছে সরকার।’
মিজোরামের সামাজিক কাঠামো, গির্জার ভূমিকা, এনজিও-র উদ্যোগ এবং সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য সেখানে ভিক্ষাজীবির সংখ্যা কম বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। এই বিলে বলা হয়েছে, রাজ্য স্তরে একটি ‘রিলিফ বোর্ড’ গঠন করা হবে। বোর্ড ভিক্ষুকদের জন্য অস্থায়ী কেন্দ্র গড়ে তুলবে। ভিক্ষুকদের প্রথমে সেখানে রাখা হবে, তার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের নিজেদের বাড়ি বা রাজ্যে পাঠানো হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- কাছেই তো বাংলাদেশ…আর নেপাল! তাই আরও বেশি তৈরি ভারত…রেল নিয়ে এবার নতুন প্ল্যান
মিজোরামের সমাজকল্যাণ দফতরের একটি সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে, আইজল শহরেই বর্তমানে ৩০ জনের বেশি ভিক্ষুক আছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাইরের। এই বিল নিয়ে বিরোধী পক্ষের আপত্তিও ছিল। এমএনএফ নেতা লালচন্দমা রালতে অভিযোগ করেন, এই বিল মিজোরামের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
তবে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা বলেছেন, সরকারের উদ্দেশ্য ভিক্ষুকদের শাস্তি দেওয়া নয়, তাঁদের পুনর্বাসন করা। ১৩ জন বিধায়ক দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে বিলটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে।