ফলে দিল্লি হাইকোর্টে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেঞ্চই হবে মলয় ঘটকের ইডির বিরুদ্ধে আবেদনের মামলা শুনানি। যেহেতু মলয় ঘটক একজন sitting MLA, সেই কারণে তাঁর মামলা শুনানি করলেন না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনিস দয়াল। উপযুক্ত কোর্টে মামলা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মলয় ঘটককে নতুন করে তলব করবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কোর্টে মলয় ঘটকের আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মৌখিক আশ্বাস দিলেন ইডির আইনজীবী।
advertisement
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা শুভেন্দু অধিকারীর! 'পঞ্চায়েত' মামলায় আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত!
আরও পড়ুন: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার খেলা জারি...! ১৫ রাজ্যে বজ্রঝড়ের সতর্কতা IMD -র! আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট
শুনানি চলাকালীন মলয় ঘটকের আইনজীবী জানান, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরাও দিয়েছেন। একাধিক কাগজপত্র চেয়েছিল ইডি। সব নথি জমা দিয়েছেন তিনি। তবু ছয় থেকে সাতবার তলব করা হয়েছে তাঁকে। তিনি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। যেদিন দেশের রাষ্ট্রপতি কলকাতায় যাচ্ছেন, সেদিন তাকে ডাকা হচ্ছে। যেদিন প্রধান বিচারপতি শপথ নেবেন, সেদিন তাঁকে ডাকা হচ্ছে। এমন দিন বেছে বেছে তাকে তলব করা হচ্ছে যেদিন তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তী শুনানিরর দিন পর্যন্ত যাতে মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তার জন্য আর্জি জানান তার আইনজীবী।
আইনজীবীর দাবি, এখনও পর্যন্ত মলয় ঘটক অভিযুক্ত নন। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন মলয় ঘটক। তাঁর ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সেখানেই তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুধু তাই নয়, আসানসোল এবং কলকাতায় মলয়ের আরও পাঁচটি বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে বাইরে বেরিয়ে মলয় ঘটক অবশ্য এ নিয়ে তেমন কিছু বলতেই চাননি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে শুধু বলেন, ''এটি বিচারাধীন বিষয়। তাই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।''