বর্তমানে সমগ্র জোনের মধ্যে বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে মহিলা আরপিএফ কর্মীদের দিয়ে গঠিত ১৫টি “মেরি সহেলি”স্কোয়াড কর্মরত। এই স্কোয়াডগুলি মহিলা আরপিএফ অফিসার/স্টাফদের দ্বারা গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ট্রেনে একা ভ্রমণ করা মহিলা যাত্রীর যত্ন নিয়ে থাকেন। এছাড়া সম্ভাব্য মানব পাচারকারীদের কবল থেকে মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সমগ্র উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে ৫৩টি এএইচটিইউ (অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট) কর্মরত রয়েছে।
advertisement
চলতি বছরে মানব পাচারকারীদের কবল থেকে ৪ জন মহিলা যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। চলতি বছরের অগাস্ট,২০২৪ পর্যন্ত মহিলা সুরক্ষা সম্বন্ধীয় অপরাধের জন্য ছ’টি ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে এবং ৬ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এছাড়াও, প্রায় ১০টি ট্রেনে পুরুষ আরপিএফ কর্মীদের পাশাপাশি মহিলাকর্মীদের নিয়ে গঠিত মিক্সড-এসকর্ট পার্টি প্রদান করা হয়েছে, যাতে তাঁরা প্রয়োজনে যে কোনও মহিলাযাত্রীর প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিতে পারেন।
মহিলাদের সুরক্ষা শক্তিশালী করতে সমগ্র উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে ৪৬টি স্টেশনে সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে রেলওয়ের মাধ্যমে যাত্রা করা মহিলাদের জন্য উন্নতমানের নিরাপত্তা ও সুরক্ষামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি রেলওয়ে চত্বরের মধ্যে যাতে খালি কোচগুলিতে মহিলা সুরক্ষা সম্বন্ধীয় কোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য ব্যবহার করা না যায় তার জন্য স্থির কোচগুলির দরজা বন্ধ রাখা নিশ্চিত করা হয়েছে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ রেলওয়েতে যাত্রা করা মহিলাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রচার করা এবং কর্তব্য পালনের সময় মহিলাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।