কংগ্রেস (Congress) কখনওই ধর্ম-বর্ণ বা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, বারবার এমনটাই বলে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Gandhi)৷ পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর শ্রেণিকে রাজনীতির রণাঙ্গনের সামনের সারিতে যে নিয়ে আসবেন তিনি, তাঁর ভাষ্যে সে কথা এসেছে বারবারই৷ যোগী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি ফ্রন্ট ফুটে এনেছেন তাঁর এই বোনেদের৷ তাঁর স্থির বিশ্বাস, রাজনীতিতে বদল এই বোনেরাই আনবেন৷ আপাতদৃষ্টিতে 'রাঁধার পরে খাওয়া আর খাওয়ার পরে রাঁধা' দিয়েই যাঁদের জীবন চলে যেত, বছরের পর বছর এক চাকাতেই বাঁধা থাকত যাঁদের ঘরকন্নার জীবন, তাঁরা এবার বিধায়ক (MLA) হওয়ায় লড়াইয়ে সামিল৷ উত্তরপ্রদেশে এ এক বিস্ময় বটে!
advertisement
আরও পড়ুন - সনিয়াকে ফোন করেছিলেন মমতা, বলেছিলেন জোটের কথা, মেলেনি সাড়া, দাবি তৃণমূলের
'লড়কি হুঁ। লড় সকতি হুঁ'। এই মন্ত্রেই শুরু হয়েছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধির 'মিশন উত্তরপ্রদেশ'। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের (UP Assembly Election) জন্য যে ১২৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন প্রিয়াঙ্কা, তাঁদের মধ্যে ৫০ জন মহিলা। বিজেপির বিরুদ্ধে উন্নাওকে হাতিয়ার করেছে হাত শিবির। বৃহৎ রাজ্যের ভোটে প্রার্থী করা হচ্ছে উন্নাওয়ে নির্যাতিতার মাকে। 'এত বড় নির্বাচনে লড়বেন, ভয় করছে না?' সাংবাদিকদের প্রশ্নের পর কাঁপা কাঁপা গলায় আশাদেবীও বলেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা ভরসা করেছেন, লড়তে তাঁকে হবেই৷
আরও পড়ুন- আইএএস আইন সংশোধনের চেষ্টা হলে আদালতের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল
দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতি থেকে দূরে প্রিয়াঙ্কা। ২০১৯-এ উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব বর্তায় রাজীব-কন্যার উপর। উত্তরপ্রদেশের (UP) মাটিতে ঘুরে দাঁড়াতে ও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হন ও একাধিক ইস্যুতে যোগী সরকারকে একপ্রকার তুলোধোনা করেন প্রিয়াঙ্কা। তবে ২০২২-এ যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন, তার মধ্যে কিন্তু গোটা দেশের নজর উত্তরপ্রদেশের দিকেই৷ গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন বিজেপির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক বনাম প্রমিলা বাহিনী, পাল্লা ভারী কার? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে৷