এদিকে ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরপ্রদেশের সাহিবাবাদ এলাকায় ব্যাপক জল জমেছিল। আর তার জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গাজিয়াবাদের এক বাসিন্দার বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়িটি। যার জেরে আপাতত মিউনিসিপ্যাল কমিশনারের কাছে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি। ৫ লক্ষ টাকার দাবিও করেছেন তিনি। বসুন্ধরার বাসিন্দা অমিত কিশোর জানান যে, গত ২৩ জুলাই লাজপত নগরে যাওয়ার সময় তাঁর মার্সিডিজটি সাহিবাবাদে জমে থাকা জলের মধ্যে আটকে পড়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- অনেক হয়েছে! এবার ভোগো নিজের কুকর্মের চরম শাস্তি, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন সাংসদের
জলমগ্ন অবস্থার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি:
অমিত কিশোর জানিয়েছেন যে, শ্যাম পার্ক এক্সটেনশনের কাছে জল জমে গিয়েছিল। সেই কারণে তাঁর Mercedes GLA 200D গাড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর কথায়, গোটা রাস্তাটাই জলে ডুবে গিয়েছিল এবং ড্রেনেজ সিস্টেমও সম্পূর্ণ রূপে বিকল হয়ে গিয়েছিল। ফলে তাঁকে একটি টো ট্রাকের ব্যবস্থা করতে হয়, যার মাধ্যমে তিনি গাড়িটিকে নয়ডার একটি সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান। বিকল হয়ে যাওয়ার গাড়ির মেরামতের খরচ কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে। কিশোর জানান যে, তিনি ২০১৮ সালে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই গাড়িটি কিনেছিলেন।
১৫ দিনের সময়সীমা:
আইনি নোটিসে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে যে, যদি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ১৫ দিনের মধ্যে যথাযথ ভাবে সাড়া না দেয়, তাহলে অমিত কিশোর হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করবেন এবং সম্ভাব্য দুর্নীতির জন্য লোকায়ুক্ত তদন্তের দাবি করবেন। ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য একটি দেওয়ানি মামলাও দায়ের করতে চান তিনি। কিশোর জোর দিয়ে আরও বলেন যে, কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষতির জন্যই নয়, বরং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সঠিক পরিকাঠামো বজায় রাখতে সিভিক অফিসারদের কাছ থেকে জবাব দেওয়ারও একটি পদক্ষেপ।
মিউনিসিপ্যাল কমিশনারের প্রতিক্রিয়া:
মিউনিসিপ্যাল কমিশনার বিক্রমাদিত্য মালিক বলেন যে, জল জমা এবং গাড়ির ক্ষতির মধ্যে সরাসরি যোগসূত্র আছে কি না, তা প্রমাণ করার দায়িত্ব গাড়ির মালিকের। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, আরও বেশ কয়েকটি গাড়িই ওই একই রাস্তা ব্যবহার করেছিল, কিন্তু এই ধরনের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি সেই গাড়িগুলিকে।
বিক্রমাদিত্য মালিক আরও বলেন যে, সেদিন এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছিল, যার জন্য আগে থেকেই আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, গোটা এনসিআর-ই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তবে কেবলমাত্র বৃষ্টির জলের কারণে যানবাহনের ক্ষতি হওয়ার কোনও ঘটনার অফিসিয়াল রেকর্ড মেলেনি।