আদালত জানিয়েছে যে, চোকসি বেলজিয়ামের নাগরিক নন বরং একজন বিদেশি নাগরিক এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি তাঁর প্রত্যর্পণকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট গুরুতর। আদালতের আদেশ অনুসারে, ভারত কর্তৃক উদ্ধৃত অপরাধগুলি যেমন জালিয়াতি, নথি জালিয়াতি এবং দুর্নীতি-সহ বেলজিয়ামের আইন অনুসারে অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়। আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে, ভারতে নথিভুক্ত মামলাগুলি ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ১২০বি, ২০১, ৪০৯, ৪২০ এবং ৪৭৭এ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারাগুলির অধীনে পড়ে, যার সবকটিতেই এক বছরেরও বেশি কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
advertisement
আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে এই অপরাধগুলিতে চোকসির ভূমিকার মধ্যে একটি অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা, জালিয়াতি, দুর্নীতি এবং জাল নথি ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। বেলজিয়ামের ফৌজদারি কোডের ধারা ৬৬, ১৯৬, ১৯৭, ২১৩, ২৪০, ২৪১, ২৪৫, ২৪৬, ২৪৭ এবং ৪৯৬ ধারার অধীনেও এগুলি গুরুতর অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, ভারতের অভিযোগগুলির মধ্যে প্রমাণ নষ্ট (আইপিসি ধারা ২০১) বেলজিয়ামের আইনের অধীনে অপরাধ হিসাবে স্বীকৃত নয়। তাই, সেই নির্দিষ্ট কারণে প্রত্যর্পণ মঞ্জুর করা যাবে না। রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত অপরাধগুলি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে ১ জানুয়ারি, ২০১৯-এর মধ্যে হয়েছে এবং ভারত বা বেলজিয়ামের কোনও দেশেই সীমাবদ্ধতার মেয়াদ শেষ হয়নি।
চোকসি আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, তাঁকে অ্যান্টিগুয়া থেকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং ভারতে রাজনৈতিক নিপীড়ন তথা অমানবিক আচরণের হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু আদালত এই দাবির সমর্থনে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি। ভারত সরকারের দেওয়া বিবরণ উল্লেখ করে আদালত উল্লেখ করেছে যে, চোকসিকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারের ১২ নম্বর ব্যারাকে রাখা হবে, যার মধ্যে ৪৬ বর্গমিটার এলাকা, দুটি কক্ষ এবং একটি ব্যক্তিগত টয়লেট রয়েছে। ভারত আশ্বাস দিয়েছে যে, কেবল চিকিৎসার প্রয়োজনে বা আদালতে হাজিরার জন্য তাঁকে জেল থেকে বের করে আনা হবে।