বুধবার সোহরা অঞ্চলের মওকমা রোডের কাছে রক্তের দাগ ওয়ালা একটি রেইনকোট উদ্ধার করা হয়েছে৷ এটি সম্ভবত নিখোঁজ পর্যটক তথা রাজার স্ত্রী সোনম রঘুবংশীর বলে মনে করা হচ্ছে৷ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে রেনকোটটি।
ইস্ট খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েন বলেন, ‘‘আমরা একটা ভেজা রেইনকোট উদ্ধার করেছি। এতে কিছু দাগ আছে৷ তবে, আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না যে এই দাগগুলো রক্তেরই কি না। একমাত্র ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমেই তা বোঝা সম্ভব৷’’
advertisement
উদ্ধার হওয়া রেইনকোটটি XXXL সাইজের৷ ঘটনার দিন ও আগের দিন থাকা ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে তুলনা করে দেখা হচ্ছে সেটি সোনম রঘুবংশীর কি না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভিজ্যুয়াল ম্যাচিং এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ করে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে৷ তাতে সময় লাগবে।
মেঘালয়ের সোহরার ওয়েইসাওডং ঝরনা সংলগ্ন এলাকার জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা জুড়ে চলছে এই অনুসন্ধান অভিযান৷ কারণ, এই জঙ্গলেই কিছু একটা হয়েছিল ওই দম্পতির সাথে৷ বর্তমানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সেই তল্লাশি অভিযানেও বাধাও আসছে। এসপি সিয়েম জানান যে, NESAC থেকে মাঝেমধ্যে ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে৷ কিন্তু খারাপ আবহাওয়া থাকায় আকাশপথে অনুসন্ধান চালানো যাচ্ছে না। তিনি জানান, ‘‘এখন আবহাওয়া কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে৷ নাহলে টানা খারাপ আবহাওয়া চলছিল এবং মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল৷ এই বৃষ্টিতে কল্লাশি অভিযান চালানো বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও আমরা NESAC ড্রোন ব্যবহার করেছি৷’’
এই ড্রোনের সাহায্যেই সোমবার ওয়েইসাওডং ঝরনার কাছে একটি গিরিখাতে সোনমের স্বামী রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। রাজার পচা মৃতদেহের সাথে উদ্ধার করা হয়েছে একটি চাপাতি, একজন মহিলার সাদা শার্ট, ওষুধের একটি স্ট্রিপ, একটি মোবাইল ফোনের এলসিডি স্ক্রিনের একটি অংশ এবং একটি স্মার্টওয়াচ।
এসপি সাইয়েমের মতে, ব্যাপক অনুসন্ধানের জন্য ৫০ থেকে ৬০ জনেরও বেশি কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি), স্পেশাল অপারেশনস টিম (এসওটি) এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের দল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই দম্পতি ২২ মে মাওলাখিয়াত গ্রামে গিয়েছিলেন এবং নোংরিয়াতে রাত কাটিয়েছিলেন। ২৪ মে শিলং-সোহরা সড়কের পাশে একটি ক্যাফের বাইরে তাদের স্কুটারটি পার্ক করা অবস্থায় পাওয়া যায়৷ তারপর থেকে তাদের আর খোঁজ মেলেনি৷