কী হয়েছিল ওই দম্পতির সঙ্গে? বেড়াতে গিয়ে কোন বিপদে পড়েছিলেন দু’জন? রাজার দেহের আশপাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটা বিরাট ‘কাটারি’। পাওয়া গিয়েছে একটা ভাঙা ফোন এবং রাজার ডান হাতে ছিল স্মার্ট ওয়াচ৷ এবার রাজার পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও সামনে এল বড় একটা তথ্য৷
advertisement
পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বিবেক সায়াম জানিয়েছেন, রাজা রঘুবংশীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এসেছে তাঁদের৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, খুনই করা হয়েছে ইনদওরের ব্যবসায়ী রাজাকে৷ গাছ কাটার কাটারি দিয়ে ফালা করে দেওয়া হয়েছে শরীর৷ তারপর ঝরনার পাশে গভীর খাদে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই ১১ দিন ধরে পচেছে রাজার দেহ। কিন্তু, তাঁর স্ত্রী সোনম কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছে, এখনও জানে না কেউ। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাটারিটি খাদ থেকে উদ্ধার করেছে৷
পুলিশ সুপার বিবেক সায়াম জানিয়েছেন, স্থানীয় এ মহিলা চা ভেন্ডারের সঙ্গে ওই দম্পতির বচসা হয়েছিল৷ সেই বচসা স্থানীয়দের মধ্যেও ছড়াতে পারে৷ কিন্তু, পুলিশের ধারণা, এমন সামান্য কারণে কেউ তাঁদের ঘিরে ধরে খুন করবে না হয়ত৷ অন্যদিকে, গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে রাজ রঘুবংশীর পরিবার৷
গত ২২ মে ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী এবং স্ত্রী সোনম হানিমুনের জন্য শিলংয়ে যান। প্রথমে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন৷ শেষবার সোনমের সঙ্গে কথা হয়েছিল রাজার মায়ের৷ সেই সময় জঙ্গলে ট্রেক করে ঝরনা দেখতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সোনম৷ হাঁপাচ্ছিল। তারপর পরে হঠাৎ করেই পরে ফোন করছি বলে ফোন কেটে দেয় সোনম। সেই ফোন আর আসেনি।
এরপর দু’জনের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। ভয় পেয়ে যান ইনদওরে থাকা রাজার পরিবার৷ পরিবারের কয়েকজন সদস্য শিলং-ও চলে আসেন৷ তারপর ১১ দিন ধরে চলে তল্লাশি৷ অবশেষে মেঘালয়ের সোহরার উইসদং ঝরনার কাছে খাদের অনেক নীচে উদ্ধার হয় রাজা রঘুবংশীর দেহ৷ ডান হাতের ‘রাজা’ ট্যাটু দেখে তাঁর দেহ শনাক্ত করা হয়৷ কিন্তু মহিলাদের সাদা টপ ছাড়া সোনমের জন্য আর কিছুই পাওয়ার যায়নি৷
রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশী দাবি করেছেন, ‘‘আমরা সিবিআই তদন্ত চাইছি৷ আমাদের মনে হয় ডাকাতি করে খুন করা হয়েছে৷ ওঁর (রাজার) পার্স, হীরের ব্রেসলেট মিসিং৷ সোনমকে মনে হয় কিডন্যাপ করা হয়েছে৷’’