তৃণমূলের ইস্তেহারে বলা হয়েছে, মেঘালয়ের সামাজিক স্কিমগুলি প্রসারের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বেশি। কৃষিকাজের জন্য কৃষকদের আর্থিক সাহায্যে দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যথাযথ গঠনের কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি এবং মহিলা ও শিশুদের জন্য হাসপাতাল বানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
advertisement
স্বাস্থ্যসাথীর ধাঁচে মেঘালয় হেলথ ইন্সুইরেন্স ও ওষুধের দোকানে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের ইস্তেহারে শিক্ষাক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতি ব্লকে মডেল স্কুল এবং কোয়ালিটি এডুকেশনের কথা বলা হয়েছে ইস্তেহারে। সামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে, ঘরে ঘরে জল পরিষেবার প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবা ২৪ ঘন্টাই থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সবথেকে চমক WE card ও MYE Card পরিষেবার কথা বলা হয়েছে ইস্তেহারে।
এছাড়া সড়কপথ উন্নত করার কথা বলা হয়েছে ইস্তেহারে। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও ইস্তেহারে একগুচ্ছ ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। মিউজিক, স্পোর্টস, হেরিটেজে জন্য একের নিচুস্তরে ব্লক লেভেলে কাজের কথা বলা হয়েছে। একাধিক স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরির বিষয়ে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় স্টেডিয়াম হবে বলে জানানো হয়েছে।
মেঘালয়ে পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই বিষয়টিতেও নজর দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। ঐতিহাসিক স্থান, ধর্মীয় স্থানের যথাযথ সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ক্ষমতায় এলে অসম-মেঘালয় সীমানা সমস্যা মেটানোর কথা বলা হয়েছে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে। .
নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা একটা বই নয়। যেখানে ১০টা পয়েন্ট শুধু লিখে রাখা আছে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর এমরা এটা করেই দেখাবো। আমাদের মিশন মেঘালয়ে রাজ্যের মানুষের জন্যেই কাজ করার কথা উল্লেখ আছে। সাধারণ মানুষের কথা শুনেই কাজ করা হবে। সাধারণ মানুষের বিরোধী হবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তৃণমূল স্তরের মানুষের সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "বিরোধীরা বলছে, আমরা নাকি বহিরাগত দল। আমরা নাকি মেঘালয় সম্পর্কে কিছু জানিনা। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যাঁরা আমাদের চ্যালেঞ্জ করছেন, তারা মেঘালয় নিয়ে কোনও ভিশন প্রকাশ করতে পারেননি। আমি কোন রাজনৈতিক দলের নাম নিচ্ছি না। কে কী করেছেন রাজ্যের জন্য তা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। আমরা একমাত্র দল যাঁরা শুধু কথা বলে থেমে থাকিনা। আমরা কাজটাও করি।"
আরও পড়ুন, কলকাতার তাপমাত্রা আরও একটু বাড়ল, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
আরও পড়ুন, যা রটেছিল, তা ঘটল না! প্রণবপুত্র নন, সাগরদিঘিতে দেবাশিসই তৃণমূলের ভরসা
অভিষেক ববেন, "আমার কথা একটাই যা এখানে বলেছি, তাতে সরকারে আসলে আমরা ১০০ দিনে এই কাজ করে দেখানো হবে। অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যে কাজ করব বলছি, আর্থিক সাহায্য করছি, তাতে আমাদের কাছে এত অর্থ আসবে কোথা থেকে? এই রাজ্যেই অর্থ আছে। যার অধিকার আছে এই রাজ্যের মানুষেরই। আমরা সেটি পাইয়ে দিতে আমরা সচেষ্ট।
এখানে গত ৫ বছর ধরে একটা অপদার্থ সরকার চলছে।"