তদন্ত এবং অভিযুক্তদের বক্তব্য অনুসারে, ঘাতকদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল সৌরভের দেহের অংশে কাদা ঢেলে ড্রামে একটি চারাগাছ রোপণ করা। কিন্তু পরে, মুসকান এবং সাহিল দুর্গন্ধের কারণ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে মৃতদেহ লুকোনোর জন্য ভেজা সিমেন্টই ভাল বিকল্প। তবে একটি ভুল তারা করেছিল৷ তারা ড্রামের ওজন বিবেচনা করেনি এবং যখন তারা কিছু শ্রমিককে এটি বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়ার জন্য ডেকেছিল, তখন তারা এটি ভারী বলে তুলতেও পারেনি। তাদের হাত থেকে ড্রাম পড়ে এর সিমেন্টের ঢাকনা খুলে যায়৷ ফাঁস হয়ে যায় মুসকান-সাহিলের কীর্তি৷ আতঙ্কিত হয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে অপরাধ স্বীকার করে মুসকান।
advertisement
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আসক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং নির্মমতার এক ভয়াবহ কাহিনী উঠে এসেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, মুসকান এবং সাহিল মাদকাসক্ত ছিল এবং তারা ভয় পেয়েছিল যে সৌরভ তাদের সম্পর্ক বন্ধ করে দেবে। সৌরভ তাদের সম্পর্কের কথাও জানতেন এবং বিবাহবিচ্ছেদের কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়ের কথা ভেবেই পিছিয়ে আসেন৷ লন্ডনে কর্মরত সৌরভ তার মেয়ের ৬ বছরের জন্মদিন উপলক্ষেই মেরঠে বেড়াতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন : কোন ভিটামিনের অভাবে কমে মহিলাদের ডিম্বাণু? ঋতুস্রাব অনিয়মিত? ঘাটতি পুরুষদের শুক্রাণুতে? জানুন
তদন্তে জানা গিয়েছে যে সৌরভের লন্ডন ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে এবং তিনি এ বার বাড়িতে ফিরে এসে এটি রিনিউ করার কথা ভেবেছিলেন। সৌরভ তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকেও লন্ডনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুসকান এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি মেরঠেই থাকতে চান, সম্ভবত সাহিলের সঙ্গে থাকার জন্য। সৌরভ তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন এবং তার পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেছিলেন। তরুণের সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল তাঁর মাদকাসক্ত স্ত্রীর দুষ্কর্মে৷