পুলিশের দাবি, খুনি মেয়েটির গলা কেটে মাথা আলাদা করে নিয়ে গেছে এবং দেহটি ফেলে গেছে খালের ধারে। ঘটনাস্থলে পাওয়া গিয়েছে মেয়েটির সলওয়ারের পকেটে রাখা একটি কাগজের টুকরো, যেখানে লেখা ছিল একটি মোবাইল নম্বর।
advertisement
এই নম্বরে ফোন করে পুলিশ জানতে পারে, এটি দৌরালা এলাকার নগলি সাদারন গ্রামের এক কিশোরের, যে মেয়েটির বন্ধু বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। সে মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত করে জানায়, এটি দৌরালার দাদরি গ্রামের বাসিন্দা আস্থা ওরফে তনিষ্কা (১৭)।
মৃতা আস্থার বাবা রমেশ কুমার সিআরপিএফ-এ কর্মরত এবং বর্তমানে ছত্তিশগড়ে পোস্টেড। বুধবার থেকে আস্থা নিখোঁজ ছিল, কিন্তু পরিবারের কেউ পুলিশে খবর দেয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে মাথাকাটা মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ঘটনার পর পুলিশ আস্থার মা রাকেশ দেবী, দুই নাবালক ভাই, দুই মামা ও মামাতো ভাই মনজিত ওরফে মনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, আস্থার এক কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তার পরিবারের সদস্যরা তা মেনে নিতে না পেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
মামাতো ভাই মনজিত জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে পুলিশ গঙ্গনহরে ছাত্রীর মাথা খুঁজে চলেছে এবং পুরো ঘটনার তদন্ত জোরকদমে চলছে। খুব শিগগিরই ঘটনার পর্দাফাঁস হবে বলে জানিয়েছে মেরঠ পুলিশ।