আরও পড়ুন: সংসদে আগে ৫০ পয়সাতেই মিলত পেট ভর্তি খাবার! এখন থালির দাম কত হয়েছে জানেন?
দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন সিধুর স্ত্রী নভজ্যোৎ কৌর সিধু। বর্তমানে ক্যানসারের চতুর্থ স্টেজে রয়েছেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশ্য সভায় মুখ খুলেছিলেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। ওই সভায় তিনি দাবি করেন, অ্যালোপ্যাথি নয়, তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে সম্পূর্ণ ঘরোয়া আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়। যেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে, কাঁচা হলুদ, তুলসি, লেবুর জল, আপেলের ভিনিগার সিডার ও নিমপাতার মতো জিনিস। এছাড়া কুমড়ো, বেদানা, আখরোট, আমলকীর ও বিটের জুস দেওয়া হয় তাঁকে। খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নারকেল ও বাদাম তেল। এছাড়া চায়ে ব্যবহার করা হয় লবঙ্গ, গুড় ও দারুচিনি। এই সবের পাশাপাশি জীবনযাপনে আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে জয় করেছেন তাঁর স্ত্রী। এই বক্তব্যের পরেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই ধরনের চিকিৎসা কতটা যুক্তিযুক্ত!
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস, জানালেন বিদেশম
প্রাক্তন ক্রিকেটারের এহেন দাবি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে তৎপর হয় চিকিৎসক সংগঠন। ৮৫০ কোটি টাকার নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি ছত্তিশগড় সিভিল সোসাইটির সদস্য ডাঃ কুলদীপ সোলাঙ্কি বলেন, সিধু যে দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন উনি। ওনার এই দাবির ফলে বহু ক্যানসারের রোগী ওষুধ খেতে চাইছেন না। ফলে তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে। যদি সিধু নিজের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্য প্রমাণ পেশ না করেন সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ক্যানসার নিরাময়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সংগঠনের এই আইনি পদক্ষেপ বিপদ সিধু দম্পতির বিপদ বাড়াল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন সিধুও। নিজের এক্সে পোষ্ট করে তিনি জানিয়েছেন, “আমার কাছে ডাক্তার ভগবানের মতন।” তাঁর স্ত্রীকেও অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিধু।