প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হুমকি ফোন। ৫ কোটি না দিলে ভিডিও ফাঁসের হুমকি। তদন্তে নেমে ৯ ফেব্রুয়ারি মুচিপাড়ার লজে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে উদ্ধার হওয়া একটি ল্যাপটপেই মেলে ম্যাথু স্যামুয়েলের ছবি। সেই ঘটনার তদন্তেই শুক্রবার দিল্লি যায় কলকাতা পুলিশের একটি দল। এদিন প্রথমে,
- দিল্লির দ্বারকা সেক্টর ১০-এ ম্যাথুর পুরনো ফ্ল্যাটে যায় পুলিশ
advertisement
- সেখানে নারদ কর্তার খোঁজ মেলেনি
- এরপর গ্রিন পার্কে নারদ নিউজের অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা
- বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫টি ল্যাপটপ
- রাতে রয়্যাল পার্কে ম্যাথুর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা
- সেখানেই নারদ কর্তার হাতে নোটিস ধরায় কলকাতা পুলিশ
- ২২ ফেব্রুয়ারি মুচিপাড়া থানায় তলব করা হয় ম্যাথুকে
হুমকি-অভিযোগের মুখে অবশ্য অন্য সাফাই নারদ কর্তার। ম্যাথু জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে নিধিন চন্দ্রন নামে কেরলবাসী এক কর্মচারীকে কাজ থেকে তাড়ান ম্যাথু ৷ - কাজ ছাড়ার সময় সেই কর্মচারী ২ ল্যাপটপ চুরি করেন বলে অভিযোগ ৷ কেরল পুলিশের কাছে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগও দায়ের হয় ৷ সেই ল্যাপটপই মুচিপাড়ার লজ থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে ধারণা নারদ কর্তার ৷
কলকাতা পুলিশের দিল্লি-অভিযান নিয়ে এদিন হাইকোর্টে সরব হন ম্যাথুর আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রের বেঞ্চ অবশ্য এই অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় ফের বিচারবিভাগের দ্বারস্থ হতে পারেন নারদ কর্তা।