উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৬৭তম সাধারণতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লির রাজপথে চোখধাঁধানো কুচকাওয়াজ। অত্যাধুনিক মিসাইল, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমানের ফ্লাই পাস্টে সামরিক পেশিশক্তিহর এক অনন্য প্রদর্শন। বিভিন্ন রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলোর হাত ধরে নানা মত, নানা ভাষায় প্রকাশ পেল দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
advertisement
সেনাবাহিনীর মার্চপাস্ট এবং স্টান্ট দেখার জন্য রাজপথে ছিল উপচে পড়া ভিড়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই একে একে মার্চপাস্ট শুরু করে সেনার বিভিন্ন রেজিমেন্টের জওয়ানরা। আসাম রেজিমেন্ট, রাজপুত রেজিমেন্ট, প্যারাকমান্ডোদের কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য অতিথিরা। কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে এই প্রথম অংশগ্রহণ করল বিদেশি সেনা ৷ প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজে অংশ নিল ফরাসি বাহিনী ৷ রয়েছেন ৩ বাহিনীর প্রধান ৷ কুচকাওয়াজে রয়েছে সেনাবাহিনীর ডগ স্কোয়াডও ৷
কুচকাওয়াজ শুরু আগে বীর সেনানীদের অশোক চক্র ও কীর্তি চক্র প্রদান করা হয়।
সাধারণতন্ত্র দিবসে শহীদ সেনাদের স্মরণে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই শুরু হয় রাজপথের কুচকাওয়াজ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানী দিল্লিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। এ মাসের গোড়ায় পাঠানকোটে হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। তাই নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি এবার আরও বেশি। কুচকাওয়াজ সুরক্ষিত করতে মোতায়ন করা হয়েছে ৪৯ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। ১৫ হাজার সিসিটিভিতে চালানো হবে নজরদারি । সজাগ থাকবেন এনএসজি-র এক হাজার স্নাইপারও। সকাল নটা পঞ্চাশ থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলবে কুচকাওয়াজ। তার অনেক আগে ভোর পাঁচটা থেকে পথে নেমেছেন ৪৯ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। রাজধানীর অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থানেও থাকবেও বাড়তি পাহারা।