আরও পড়ুন- বাংলায় বৃষ্টি থামবে কবে? মৌসুমি বায়ুর বিদায় শুরু! বর্ষা এবার এসেছিল ৯ দিন আগে…
সাহস্ত্রধারা এলাকায় গত রাত থেকে অবিরাম ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় দোকান ও হোটেলগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার রাতে ভারী বৃষ্টির ফলে তামসা নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। দেরাদুন শহরের অন্যতম প্রধান মন্দির তপকেশ্বর প্লাবনের মুখে পড়ে। মন্দিরের প্রাঙ্গণে জল ঢুকে যায়। জল হনুমান মূর্তির গলা পর্যন্ত উঠে যায়। যদিও মন্দিরের মূল গর্ভগৃহ নিরাপদে রয়েছে।
advertisement
গত রাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে দেরাদুন–হরিদ্বার জাতীয় সড়কে ফান ভ্যালি এবং উত্তরাখণ্ড ডেন্টাল কলেজের কাছে অবস্থিত সেতুটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও SDRF জানিয়েছে, ঋষিকেশে চন্দ্রভাগা নদী আজ সকালে থেকেই পূর্ণ প্রবাহে রয়েছে, যার ফলে জল জাতীয় সড়ক পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। নদীতে আটকে পড়া তিনজনকে SDRF-এর দল সফলভাবে উদ্ধার করেছে। যদিও এখনও বেশ কয়েকটি গাড়ি জলের মধ্যে আটকে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ টেলিফোনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলে অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পুষ্কর সিং ধামি দেরাদুন জেলায় অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পরিদর্শন করছেন।
স্থানীয় বিধায়ক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কোনও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হয় এবং অবিলম্বে ত্রাণসামগ্রী, নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, পানীয় জল ও চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত করা হয়।
কয়েকদিন আগে ৫ অগাস্ট উত্তরকাশীর ধারালি এলাকায় এক ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। ফলে ব্যাপক আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস শুরু হয়। এই দুর্যোগে বহু ঘরবাড়ি, হোটেল এবং হোমস্টে ধ্বংস হয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন।
