মাস্ক। গত কয়েকমাসে জীবনের সঙ্গে জুড়ে গেছে শব্দটা। আতঙ্কেই হোক, বা সাবধান হতে, সব মুখেই এখন মাস্কের আড়াল। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এটিএমে টাকা তুলতে গেলেও মাস্ক মাস্ট। আর এখানেই চিন্তা বাড়ছে পুলিশকর্তাদের।
শহরে এটিএম জালিয়াতি নতুন নয়। কার্ড স্কিমিং থেকে ক্লোনিং কিংবা কি-প্যাডে আঠা লাগিয়ে জালিয়াতির সাক্ষী এ শহর। এবার কী তাহলে জালিয়াতি করতে মাস্কের সুযোগ নেবে দুষ্কৃতীরা? এর আগে অভিযুক্তদের মুখে মাস্ক দেখেই কপালে ভাঁজ পড়ত দুঁদে গোয়েন্দাদের। এবার তো সবার মুখে মাস্ক। কি করে বোঝা যাবে অপরাধী কে? মাস্কে মুখ ঢাকা জালিয়াতদের কীভাবে সনাক্ত করা যাবে? গ্রাহকদের মধ্যে গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
advertisement
শহরের অনেক এটিএম-ই অরক্ষিত। নিরাপত্তারক্ষী থাকেন না। তার উপর আমফনের দাপটে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্ষতিগ্রস্ত। রাস্তা বা এটিএম কিয়স্কের সিসি ক্যামেরা কোথাও খারাপ , কোথাও ঘুরে গেছে। ফুটেজ মেলা এখন অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতি ব্যাঙ্ক ফ্রড আটকানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
‘সমস্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে ৷ সমাধান খুঁজতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে ৷ রোমানিয়ন গ্যাং যাতে স্কিমিং করতে না পারে তার জন্য ব্যাঙ্কের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে ৷ বেশ কিছু গাইডলাইন আনা হবে ৷’ বলছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান মুরলি ধর। পুলিশের গাইডলাইনের অপেক্ষায় এখন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।