সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত এলএমজি নিয়ে হামলার জেরে বহু জওয়ান হতাহত হয়েছেন। সিআরপিএফ-এর ডিজি কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, মাওবাদীরা বিভিন্ন এলাকায় আগে থেকেই এলএমজি লুকিয়ে রেখেছিল। ওইসব পজিশন থেকেই তারা বাহিনীর উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। সঙ্গে গ্রেনেড ও দেশি রকেট দিয়ে হামলা চলে। তবে জওয়ানরা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। নকশালরা তাদের আহত সঙ্গী ও মৃতদের ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। সিআরপিএফের আরেক কর্তার অবশ্য দাবি, গ্রামের দিক থেকেই মূলত এলএমজি নিয়ে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। সব থেকে বেশি হতাহত হয়েছে কোবরা বাহিনীর জওয়ানরা। কবে এসটিএফ-এরও প্রায় আটজন জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন। এই হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ তেলেঙ্গানার মাওবাদী নেতারাও। বাহিনীর তরফে এমনও জানানো হয়েছে।
advertisement
সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। রোববার সকালে কুড়ি জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার উদ্ধার হয়েছিল দুজন জওয়ানের মৃতদেহ। হামলায় ৭০০-র বেশি মাওবাদী জড়িত ছিল বলে আন্দাজ করছে বাহিনী। ওই এলাকায় মাওবাদীদের ব্যাটেলিয়ান সামলায় সুজাতা নামের একজন মহিলা। বাহিনীর গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআরপিএফ। ছত্তিশগড়ের এই ঘটনার জেরে অসমে নির্বাচনী প্রচারের জন্য সফর কাঁটছাট করেছেন অমিত শাহ। নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিআরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিখোঁজ জওয়ানদের খুঁজে বের করতে সবরকম চেষ্টা করতে হবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরাও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।