প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি বরাদ্দ ছিল মনমোহনের জন্য৷ কিন্তু সেই গাড়িতে বাধ্য হয়েই চড়তেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী৷ অসীম অরুণ লিখেছেন, ২০০৪ সাল থেকে প্রায় তিন বছর আমি ওনার দেহরক্ষী ছিলাম৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এসপিজি৷ আমার সেই দলকেই নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: ‘ইতিহাস আমার প্রতি এতটাও নির্দয় হবে না!’ তিনিই সঠিক ছিলেন, মৃত্যুতেই প্রমাণ করলেন মনমোহন?
advertisement
অসীম অরুণের কথায়, এআইজি সিপিটি হলেন সেই ব্যক্তি যাঁকে সবসময় প্রধানমন্ত্রীর একেবারে পাশে থাকতে হবে৷ সেই কারণে আমি ওনার সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে থাকতাম৷ ডাক্তার সাহেবের (মনমোহন সিং)-এর নিজের একটিই মারুতি ৮০০ গাড়ি ছিল৷ সেই গাড়িটি তাঁর জন্য বরাদ্দ ঝকঝকে বিএমডব্লিউ-এর পিছনে দাঁড় করানো থাকত৷ মনমোহন সিং-জি আমাকে বার বার আমাকে ওই মারুতি ৮০০ গাড়ি দেখিয়ে বলতেন, অসীম আমার এই গাড়ি (বিএমডব্লিউ)চড়তে ভাল লাগে না৷ আমার গাড়ি ওটা (মারুত ৮০০)৷ তখন আমি তাঁকে বুঝিয়ে বলতাম, স্যর এই গাড়ি আপনাকে বিলাসিতার জন্য নয়, আপনার নিরাপত্তার কথা ভেবে দেওয়া হয়েছে৷
প্রাক্তন ওই দেহরক্ষীর কথায়, এত বোঝানোর পরেও পছন্দের মারুতি ৮০০ গাড়ির সামনে দিয়ে গেলেও দু চোখ ভরে সেই গাড়িটিকে দেখতেন মনমোহন৷ অসীম অরুণ লিখেছেন, ওনাকে দেখে মনে হত নিজের ওই গাড়িটির দিকে তাকিয়েই তিনি নিজেকে মনে করিয়ে দিতেন যে আমি মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের কথা ভাবাটাই আমার কাজ৷ কয়েক কোটি টাকার এই গাড়ি প্রধানমন্ত্রীর, আমার গাড়ি হল এই মারুতি৷
অসীম অরুণ একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার৷ ২০২২ সালে স্বেচ্ছাবসর নেন তিনি৷ কনৌজ সদর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন তিনি৷ প্রাক্তন এই দেহরক্ষীর বয়ান থেকেই পরিষ্কার, কতটা সাধারণ জীবনযাপন পছন্দ ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর৷