রাজ্যের ভেতরে দ্বিগুণ দামে প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। মণিপুরের বেশিরভাগ এলাকায় সিলিন্ডার, পেট্রোল, চাল, আলু, পেঁয়াজ এবং ডিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ইম্ফল পশ্চিম জেলার স্কুল শিক্ষক মঙ্গলেম্বি চানম বলেছেন, “আগে ৫০ কেজি চালের বস্তা ৯০০ টাকায় পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তা ১৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আলু ও পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কেজিতে ২০-৩০ টাকা। রাজ্যের বাইরে থেকে আনা প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে।”
advertisement
চানম আরও বলেন, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ব্ল্যাক মার্কেটে ১৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অনেক এলাকায় পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তিনি বলেন, ডিমের দামও বেড়েছে। ৩০টি ডিমের একটি ক্রেট ১৮০ টাকায় পাওয়া যায়। কিন্তু এখন ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আৎও দাবি করেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বহনকারী ট্রাকগুলিকে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। না হলে দাম আরও বাড়তে পারত। নিরাপত্তা বাহিনী আসার আগে আলুর দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
আরও পড়ুন- ২০০০ টাকা দিলে মিলছে ২১০০ টাকার জিনিস! কোথায় এই দোকান, জেনে নিন
মণিপুরের যে জেলাগুলি আপাতত শান্ত, সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে খুব বেশি বাড়েনি। রেবেকা গ্যাংমেই, যিনি তামেংলং জেলায় একটি রেশন দোকান চালান, তিনি বলেছেন, “প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে চালের দাম অনেকটাই বেড়েছে। শুধুমাত্র মাংসের দামে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। কারণ সেটি অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করা হয় না।”
উখরুল জেলার একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক পামচুইলা কাশুং বলেছেন, তাঁর জেলা নাগাল্যান্ডের কাছাকাছি অবস্থিত। সেখান থেকে অনেক পণ্য আসে। যার কারণে দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে চালের দাম অনেকটাই বেড়েছে।
আরও পড়ুন- নীতি পুলিশগিরি মানব না, পুলিশ কর্তাদের নির্দেশ সিদ্ধারামাইয়ার
প্রায় ১০ হাজার সেনা ও আধা-সামরিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে মণিপুরের বিভিন্ন জায়গায়। প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।