ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, যে ৪টি সড়ককে জাতীয় সড়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে – ১) কমলপুর-শান্তিরবাজার (এনএইচ-৮) ভায়া আমবাসা, গন্ডাছড়া, অমরপুর (এনএইচ-২০৮) দৈর্ঘ্য ১৪৮ কিলোমিটার। ২) চম্পকনগর (জিরানীয়া) থেকে উদয়পুর ভায়া খুমুলুঙ (এনএইচ-৮) এবং জম্পুইজলা (দৈর্ঘ্য ৪০ কিমি)। ৩) অমরপুর থেকে উদয়পুর (দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার)। ৪) শান্তিরবাজার থেকে বিলোনীয়া (দৈর্ঘ্য ১৭.২৫ কিলোমিটার)।
advertisement
এই সড়কগুলি নীতিগতভাবে জাতীয় সড়ক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বিধায়ক সুদীপ সরকার এবং বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মার অপর একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জানান, রাজ্যে বর্তমানে ২১টি স্টেট হাইওয়েজ রয়েছে। স্টেট হাইওয়েজের মোট দৈর্ঘ্য ১০৫৭.৪৫ কিলোমিটার।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে আর্থিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জাতীয় সড়ক ২০৮ – এর খোয়াই থেকে হরিনা পর্যন্ত দুই লেন বিশিষ্ট পাকা সড়কের উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের অনুমোদন দিয়েছে। রাজ্যে এই প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৩৪.৯১৩ কিলোমিটার। প্রকল্পটিতে ১,৫১১.৭০ কোটি টাকা ঋণ সহ মোট ২৪৮৬.৭৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ODA) স্কিমের অধীনে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA) থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ত্রিপুরার বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আরও উন্নত সড়ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি অসম ও মেঘালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রও প্রসারিত হবে। এতে দূরত্বও অনেকটাই কমে যাবে।