প্রথমে অবশ্য কর্তৃপক্ষের ধারণা হয়েছিল যে, ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাই তাঁকে নিচে নামানোর প্রচেষ্টাও চলেছিল। এতে অবশ্য সফল হননি তাঁরা। এরপর আসরে নামেন আরপিএফ অফিসাররা। কোনওক্রমে ট্রেনের ছাদে ওঠেন তাঁরা। এর জন্য স্টেশন চত্বরের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিরাপদে নামিয়ে আনা হয় ওই ব্যক্তিকে। অবশ্য জিআরপি এবং আরপিএফ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। প্রায় ২০ মিনিট দেরিতে গন্তব্যে রওনা দেয় ট্রেনটি।
advertisement
এরপর ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বছর তিরিশের ধৃত ওই যুবকের নাম দিলীপ। ফতেহপুরের বিন্দকি তেহসিলের ফিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তবে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটে চলা ট্রেনটির মাথায় কেন চেপেছিলেন দিলীপ? এই প্রশ্ন শুনে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি ওই যুবক।
কানপুরের আরপিএফ স্টেশন ইন-চার্জ বিপি সিং বলেন, দিল্লি থেকে ট্রেনে ওঠেন ওই যুবক। এমনকী দিল্লি থেকে কানপুর পর্যন্ত তিনি ট্রেনের ছাদে শুইয়েই যাত্রা করেছিলেন। বিপি সিংয়ের কথায়, যদি মাঝখানে কোথাও তিনি দাঁড়িয়েও পড়তেন, তাহলে বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্পর্শে আসতেন। আর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হতে পারত। এর পাশাপাশি ওএইচই লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্রেনের মধ্যেও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সেই কারণে ওই যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেলওয়ে আইনের ১৫৬ ধারায় গ্রেফতারও করা হয়েছে দিলীপকে।