ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার ভরথানা এলাকার কাকরাহি গ্রামে। রাজমিস্ত্রির কাজ করা কুনওয়ারপাল সিং তাঁর স্ত্রী রাজকুমারীকে নিয়ে গ্রামে থাকতেন। এদিকে কুনওয়ারপালের দেওর সুভাষ তার বাড়িতে আসতেন এবং তাঁর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। পরে তাদের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। একদিন তারা দুজন পালিয়ে যায়।
advertisement
১৮ জুন কুনওয়ারপাল স্থানীয় থানায় জানান, তাঁর স্ত্রী রাজকুমারী দেওরের সঙ্গে পালিয়ে যায়। দু’জনের কোনও খোঁজ না পেয়ে কুনওয়ারপাল তাঁর স্ত্রী ও দেওরকে খুঁজে বের করার জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। দু’জনের প্রেম এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তাঁরা। যে মহিলা নন্দোইকে নিয়ে পালিয়ে যায় সেও ভুলে গিয়েছিল এই লোকটি তাঁর ননদের স্বামী। বিষয়টি থানায় পৌঁছলে এই প্রেমের গল্প শুনে অবাক হয়ে যায় পুলিশও।
চার বছর আগে পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা রাজকুমারীর সঙ্গে বিয়ে হয় কুনওয়ারপালের। জানা গিয়েছে, রাজকুমারীর প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর দিব্যাঙ্গ কুনওয়ারপালের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তখন স্বামীর জামাইবাবুর বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিল এবং একইসঙ্গে দু’জনেই প্রেমে পড়েন। মহিলার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নন্দাইয়ের সঙ্গে মহিলার সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর নন্দাই ও মহিলা রাতের অন্ধকারে গয়না ও নগদ চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কুনওয়ারপালের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করেন এবং অনুসন্ধান শুরু করেছে। এ সময় স্বামী স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। মরিয়া স্বামী ঘোষণা করেছেন, কেউ তার স্ত্রীকে ধরতে পারলে তাঁকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।