পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার, ট্রেন সংখ্যা ০২৫৬৩ বারুনি-নিউ দিল্লি হমসফর এক্সপ্রেসের থার্ড এসি কামরায় এই ঘটনাটি ঘটে। রেলের গ্রুপ ডি কর্মী প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এক ১১ বছর বয়সী নাবালালিকাকে যৌন হেনস্থার। তাঁর পরিবার এই অভিযোগ করার পরেই ট্রেনে থাকা সহযাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপরেই প্রশান্তের উপর চড়াও হন তাঁরা।
advertisement
ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিহারের সিয়ান থেকে বুধবারই রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁরা ট্রেনে ওঠেন। প্রশান্ত ওই নাবালিকাকে নিজের সিটে বসতে দেন। তাঁর মা যখন শৌচাগারে যান অভিযোগ তখনই যৌন হেনস্থা করে প্রশান্ত।
আরও পড়ুন: পানশালায় ঢুকেছিলেন মদের ফোয়ারা ছোটাতে,মুহূর্তে জালে মোস্ট ওয়ান্টেড!যেন সিনেমা
নাবালিকার মা ফিরে আসতেই সে তাঁর মায়ের কাছে গিয়ে কাঁদতে শুরু করে। তা দেখে সন্দেহ হওয়ায় কারণ জিজ্ঞেস করতেই সমস্ত ঘটনা সামনে আসে। এরপরেই বছর ৩৪-এর প্রশান্তের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শিশুটির পরিবার-সহ ট্রেনে থাকা সহযাত্রীরাও। প্রশান্তকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়। যখন ট্রেন কানপুর সেন্ট্রালে এসে পৌঁছায় ততক্ষণে মারা গিয়েছেন প্রশান্ত।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে লাড্ডু চুরি! দুই পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বেরই প্রধানশিক্ষক
ইতিমধ্যেই কানপুর জিআরপির কাছে মৃত প্রশান্তের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে, মৃত প্রশান্তের কাকা এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন।