জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের হুবিলির অশোক নগর থানা এলাকায় এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে৷ একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ভিতর থেকে অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার হয়৷
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শিশুকন্যার পরিবার কোপ্পাল জেলার বাসিন্দা৷ মৃত শিশুটির মা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করার পাশাপাশি একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন৷ মহিলার স্বামী একজন রং মিস্ত্রি৷ নিজের পাঁচ বছর মেয়েকে নিয়েই পরিচারিকার কাজ করতে বেরিয়েছিলেন শিশুটির মা৷ হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি৷ একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শিশুটিকে নিয়ে যায় বলে জানতে পারে পুলিশ৷ এর পর যেখান থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয় তার সামনেই একটি অসম্পূর্ণ বাড়ির ভিতরের বাথরুমের মধ্যে শিশুকন্যাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
advertisement
যদিও মৃ্ত্যুর আগে শিশুটির উপরে যোন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হাসপাতালে গিয়ে মৃত শিশুকন্যার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী৷ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, হুববালি সাড়়ে চার বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার ঘটনায় আমি শিউড়ে উঠেছি৷ এই ঘটনা এতটাই ভয়ঙ্কর যে লজ্জায় গোটা সমাজের মাথা নিচু করে দেয়৷৷
প্রহ্লাদ যোশী আরও দাবি করেছেন, অভিযুক্ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল৷ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের উপরেই আক্রমণ করে বসে সে৷ এর পর পালানোরও চেষ্টা করে সে৷ তখনই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার৷ যেভাবে মাদকাসক্ত অবস্থায় অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি৷