গত রবিবার সন্ধ্যেতে এডিজি এবং আইজিপি, সিআইডি পদে রাজীব কুমারকে ফেরানোর নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার ৷ তবে, এই পদের জন্য বিশেষ আইনি সুযোগ সুবিধে পাবেন না রাজীব কুমার বলে উল্লেখ ৷ কমিশনের বদলির আগেও এই পদেই কাজ করছিলেন রাজীবকুমার ৷ নির্বাচনী বিধির সময় শেষ হতেই ফের পুরনো পদে রাজীব কুমারকে ফিরিয়ে আনল মমতা সরকার ৷ পুরনো পদে যোগদানের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজীব কুমারের অব্যাহতি প্রয়োজন ৷ তাই এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে আর্জি রাজ্য সরকারের ৷
advertisement
অন্যদিকে, সিবিআই বনাম রাজীব কুমার। সময় যত গড়াচ্ছে ততই টানটান হচ্ছে দু’পক্ষের স্নায়ুর লড়াই। কৌশলে চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই। পালটা রক্ষাকবচ জোগাড়ে মরিয়া চেষ্টা রাজীব কুমারেরও।
সারদা মামলায় সিবিআইয়ের টার্গেট রাজীব কুমার। লোকসভা ভোটের ফলের পর আরও গতি পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সেই তৎপরতা। সিবিআইয়ের নোটিসের উত্তরে সাত দিন সময় চেয়েছিলেন রাজীব কুমার। কিন্তু, তাতে নারাজ সিবিআই।
মঙ্গলবার, বালিগঞ্জ প্লেসে ওয়াই জে দস্তুরের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের ৮ জনের একটি দল। সামনে কী কী আইনি জটিলতা আসতে পারে, তা নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাও হয়। একসময়, ওয়াই জে দস্তুরের থেকে আইনি পরামর্শ নিতেন রাজীব কুমার।
সিবিআই সূত্রে খবর, রাজীব কুমারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে, চাপ বাড়ানোর কৌশলই নিয়েছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার দুদফায় ভবানীভবনেও যায় সিবিআইয়ের আরেকটি দল। রাজীব কুমারকে দ্বিতীয় নোটিস দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও, নোটিসের কথা অস্বীকার করেছে সিআইডি।
মঙ্গলবার, সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় সারদা মামলার তৎকালীন তদন্তকারী অফিসার প্রভাকর নাথকে। দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় নথিপত্রও। সবমিলিয়ে রাজীব কুমারকে নিয়ে ঘুটি সাজাচ্ছে সিবিআই। পালটা কৌশল প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারেরও।