ঘটনাটি ঘটেছে জামুই জেলার শিখেরিয়া গ্রামে। ২০ জুন স্থানীয় একটি মন্দিরে আয়ুষী কুমারীর বিয়ে হয়, যেখানে শচীন দুবেকে বিয়ে করেন আয়ুষী কুমারী, মামী ও ভাগ্নের বিয়ে হয়৷ ফ্রি প্রেস জার্নালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, উভয় পরিবারের সম্মতিতেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল।
আয়ুষীর পূর্বে ২০২১ সালে বিশাল দুবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই গ্রামেই আয়ুষীর শ্বশুরবাড়ি৷ সেখানেই দম্পতির ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে, যখন আয়ুষী-শচীনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তখন পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিতভাবে নাটকীয় মোড় নেয়। খবরে বলা হয়েছে, আয়ুষী এবং শচীন প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। মেসেজ চালাচালির মাধ্যমে যা শুরু হয়েছিল তা ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। তারা প্রায়শই দেখা করতে থাকেন এবং ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন৷ দুই পরিবারের মধ্যে কোনও সন্দেহ তৈরি হয়নি৷
advertisement
দেখে নিন কীভাবে মামীর সিঁথি রাঙিয়ে দিলেন ভাগ্না, রইল ভিডিও
১৫ জুন হঠাৎ করেই শচীনের সঙ্গে পালিয়ে যান আয়ুষী কুমারী৷ তখনই এই অবৈধ প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তাঁর স্বামী স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে সদর থানায় নিখোঁজ ব্যক্তির অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এই সময়েই আয়ুষী জামুই আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। তিনি তাঁর মেয়ের কাস্টডিও দাবি করেননি৷
এত কিছুর পর, ২০ জুন আয়ুষী এবং শচীন গ্রামের একটি মন্দিরে বিয়ে করেন। ভিডিওতে, বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে শচীনকে আয়ুষীর কপালে সিঁদুর দিতে দেখা যাচ্ছে। ফ্রি প্রেস জার্নালের দেওয়া সাক্ষাৎকারে শচীন বলেন “আমরা দু’ বছর ধরে প্রেম করছি। এখন আমাদের সম্পর্কের একটি নাম আছে। আমি আয়ুষীকে চিরকাল খুশি রাখব।”
তাঁর প্রাক্তন স্বামী বিশালও একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি এটাই তাঁকে খুশি করে, তাহলে আমি তাকে থামাব না। কিন্তু সে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আসলে, সে আমার মা এবং মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। এখন থেকে, সে শচীনের দায়িত্ব।”