পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির নিরাপত্তা বৈঠক। অথচ কলকাতা ও ভুবনেশ্বর হয়ে বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। বৈঠকে হাজির ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷ তবে ছিলেন না ঝাড়খণ্ড ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লিতে সংঘর্ষ পরিস্থিতির মধ্যেই অমিত শাহের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পূর্বাঞ্চলীয় জোনাল কাউন্সিলের সেই বৈঠক থেকেই দিল্লি পরিস্থিতি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দিল্লি পরিস্থিতি উদ্বেগ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘দিল্লি নিয়ে অমিত শাহ কিছু বলেননি, আমি বলেছি ৷ দিল্লি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন ৷ দিল্লিতে দ্রুত শান্তি ফিরুক সেই আর্জি জানিয়েছি ৷’
advertisement
CAA-NRC-র বিরোধিতায় উত্তাল দেশ। নিরাপত্তা বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হয় কিনা, সেদিকে নজর রাখছিল রাজনৈতিক মহল ৷ কিন্তু এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে ৷ বুলবুল-ফণীর অনুদান পাইনি ৷ বাংলার বঞ্চনার কথা বলেছি ৷ এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে কোনও কথা হয়নি ৷’
বৈঠকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কেন্দ্রের কাছে ৫০ হাজার কোটি বকেয়া বলে দাবি রাজ্যের ৷ চলতি মাসেই বকেয়া চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য ৷ জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও টাকা মেটানোর দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
একদিকে দিল্লি পরিস্থিতি অন্যদিকে কলকাতায় অমিত শাহের সভা। অমিত - মমতা মুখোমুখি হওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতেও প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়। বৈঠক শেষে নবীন পট্টনায়েকের আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তিন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আদ্যন্ত প্রশাসনিক এই বৈঠক থেকেও নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরতে সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷