বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা এসেছে বহু আগেই৷ গত কয়েকমাস ধরে রীতিমতো ব্যক্তিগত উদ্যোগেই বিজেপি বিরোধী জোট তৈরিতে ময়দানে নেমেছেন নীতীশ কুমার৷ সঙ্গে দোসর তেজস্বী৷ কখনও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক, কখনও নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ আবার কখনও বৈঠক রাহুল গান্ধির সঙ্গে- প্রত্যেকের সঙ্গেই আলাদা আলাদা করে বৈঠক করে বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে শুরু করে দিয়েছিলেন নীতীশ৷ এবার বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একত্র করে মেগা বৈঠকের আয়োজন৷
advertisement
আরও পড়ুন: বাইডেন দম্পতিকে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি এই উপহার দিলেন মোদি, তালিকায় চমকের পর চমক!
প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমারকে পটনায় এই বৈঠকের আয়োজন করার পরামর্শ কিন্তু দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় বলেছিলেন, “নীতীশজি যখন কলকাতায় এসেছিলেন, আমাদের বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম এই বৈঠক পটনাতেই হোক। কারণ, সেখান থেকেই জয়প্রকাশ নায়ারণজি আন্দোলন শুরু করেছিলেন পটনা থেকেই। ওটা একটা হিন্দি বেল্ট। আমিই নীতীশজিকে বলেছিলাম, সকলকে আমন্ত্রণ জানান। যার যার আসার আসবে।”
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন, অন্ধকার থেকে হঠাৎ পর পর গুলি…তুমুল উত্তেজনা
দিল্লির আমলা নিয়ে অর্ডিন্যান্স ইস্যু করা থেকে শুরু করে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন– বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা ক্রমশ একজোট হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে৷ এবার সেই ছেঁড়া ছেঁড়া একতাকেই বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন নীতীশ৷ এদিনের বৈঠকে মমতা-অভিষেক ছাড়াও রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়্গে থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এম কে স্ট্যালিন, উদ্ধব ঠাকরে, সীতারাম ইয়েচুরি, ফারুক আবদুল্লা সকলেরই উপস্থিত থাকার কথা৷
তবে বৈঠকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক৷ এর মাঝে একাধিকবার কংগ্রেসের উদ্দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীকে তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, এ রাজ্যে বামেদের হাত ধরে তৃণমূলের বিরোধিতা করলে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের সমর্থন কংগ্রেসের পক্ষে পাওয়া কঠিন৷ এখন রাহুল-খাড়্গে এ নিয়ে আলাদা করে কোনও বার্তা দেন কিনা সেটাই দেখার৷