আগামী লোকসভা নির্বাচনে দুই রাজ্যে এই দুই শক্তিরই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে ২০২৪-এর আগে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূলকে এক অক্ষে বেঁধে এগোতে চাইছে ডিএমকে। চেন্নাইয়ে ঝটিকা সফর উপলক্ষে সেই বিরোধী অক্ষেরই মহড়া সেরে বুধ সন্ধ্যায় তৃণমূল নেত্রী সারেন কিনা সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। রাজনৈতিক মহলের ধারণা স্ট্যালিন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনায় ঠিক হতে পারে, বিজেপি-বিরোধিতার পথ তাঁরা কথা বলেই আগামী দিনে কীভাবে এগোবেন।
advertisement
আরও পড়ুন- গাড়ি ছেড়ে নিজ রাজ্যে ট্রেনেই যাতায়াত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর
ডিএমকে-র সুবিধা হল, তাদের সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম, সিপিআইয়ের জোট আছে। মমতা এবং স্ট্যালিন জানেন, কেরলে সিপিআইএম ও কংগ্রেস যুযুধান। আবার বাংলায় কংগ্রেস-সিপিআইএম নিজেরা জোট গড়বে কিন্তু মমতার হাত কোনও ভাবেই ধরবে না। স্ট্যালিন, নারায়ণস্বামীদের যুক্তি, রাজ্যভিত্তিক আলাদা সমীকরণ থাকলেও বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে এই আঞ্চলিক শক্তিগুলি সমন্বয় করেই লড়াই করতে পারে।
আজ, বুধবার চেন্নাই পৌঁছে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা। জানা যাচ্ছে, চেন্নাইয়ের মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাম্প অফিসে বৈঠক হতে পারে। চেন্নাইয়ের বেশ কিছু শীর্ষনেতৃত্ব উপস্থিত থাকতে পারেন গণেশানের বাড়ির অনুষ্ঠানে। সেখানে তাদের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অতীত বলছে, বিজেপি-বিরোধিতায় বার বার মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিএমকে প্রধান। বিশেষত গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর একটি ট্যুইট ঘিরে নতুন শোরগোল তৈরি হয়। স্ট্যালিন তাতে লিখেছিলেন, অবিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে যেভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নজরে ২০২৪, চেন্নাইতে আজ মুখোমুখি মমতা-স্ট্যালিন, জাতীয় রাজনীতিতে নয়া চমক
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেও একপ্রস্ত কথা হয় মমতা-স্ট্যালিনের। সূত্রের খবর, মূলত রণকৌশল স্থির করার জন্যই কথা হয়েছিল সে সময়। তাতে হাজির ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও। সেই কেসিআর যিনি আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও তাতে থাকবেন। প্রসঙ্গত, বিজেপির বিরুদ্ধে আগেই 'আঞ্চলিক জোটের' ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘‘আমি চাই ২০২৪ এর মধ্যে দেশের সমস্ত আঞ্চলিক দল ঐক্যবদ্ধ হোক, লড়াই করুক এবং বিজেপিকে পরাজিত করুক।’’