এ দিন চেন্নাই রওনা হওয়ার আগে গুজরাতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু বলব না৷ কারণ এটা ওনার নিজের রাজ্য৷'
নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থান অবশ্য নতুন নয়৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে স্বরা৷ষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের বিরুদ্ধে সরব হলেও প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী৷ বরং তিনি বলেছিলেন, 'আমি বিশ্বাস করি না প্রধানমন্ত্রী এ সব করছেন৷' মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে৷ গুজরাতে সেতু বিপর্যয় নিয়েও কার্যত একই পথে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: লটারিতে কোটি টাকা জিতেও চাপে অনুব্রত, সিবিআই দফতরে এলেন বোলপুরের লটারি ব্যবসায়ী
তবে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু না বললেও সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় বিজেপি এবং গুজরাত সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা৷ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন তাড়াহুড়ো করে সেতু খুলে দেওয়া হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজনীতির থেকে মানুষের জীবন অনেক দামি৷ যারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে, তাঁদের কেন ক্ষমা করা হবে? মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই৷ যাঁরা মারা গিয়েছেন,তাঁদের পরিবারকেও ঠিক মতো সাহায্য করা হচ্ছে না৷ কারণ ওরা নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত৷'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি গুজরাত যেতে পারতেন৷ কিন্তু তিনি রাজনীতি করতে যাচ্ছেন, এই অভিযোগ উঠতে পারে ভেবেই এখন মোদি-শাহের রাজ্যে যেতে চান না৷ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থানকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম- কংগ্রেস৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ না করলেও কলকাতায় পোস্তা সেতু ভেঙে পড়ার পরে অবশ্য রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেতু বিপর্যয় নিয়ে সরাসরি মমতাকেই দায়ী করে কটাক্ষ করে মোদি বলেছিলেন, 'অ্যাক্ট অফ ফ্রড৷' গুজরাতে সেতু ভেঙে পড়ার পর যে উক্তি তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদিকে পাল্টা কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং সহ অনেকেই৷