বাঘঘোড়া জঙ্গলে বাঘের মৃত্যু নিয়ে তরজার সূত্রপাত ৷ বাঘ হত্যার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন মানেকা গান্ধি ৷ তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর হাজার হাজার আদিবাসী লালগড়ের জঙ্গলে ঢুকে পশু হত্যা করে ৷ সবে নিজেদের জন্য নয় চোরাশিকারিদের জন্য চলে এই উৎসব ৷ ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে রাজ্য সরকার এই শিকার উৎসব বন্ধ করেননি ৷’
advertisement
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য কানে আসার পরই ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়ার জানান, ‘বাংলার সংস্কৃতি না জেনেই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ বাংলার সংস্কৃতি ও আদিবাসীদের অসম্মান করার জন্য ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত ৷’
একইসঙ্গে আদিবাসীদের শিকার উৎসবকে চোরাশিকারের সঙ্গে তুলনা করার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি কি জানেন কোথায় শিকার উৎসব হয়েছে? শিকার উৎসব তো ওখানে হয় নি, ওনার কথাটাই তো ভুল। একটা বাঘ মারা গেছে, তাকে অনেক লোক দেখতে এসেছে , একটা মানুষ মারা গেলেও তো তাঁর পরিবার পরিজন ভিড় করে। আর একটা অতবড় বাঘ, লোকে তো বাঘকে ভালবাসে, উৎসাহী মানুষ তো থাকেই, তার মানে এটাকে শিকার উৎসবের সাথে তুলনা করে দিচ্ছে? আর শিকার উৎসবটাও মনে রাখবেন এটা আদিবাসীদের উৎসব, কটাক্ষ করা ওনাকে মানায় না। বাংলাকে হেয় করতে গিয়ে উনি আদিবাসী ভাই বোনেদের হেয় করেছেন ৷’
একমাসেরও বেশি সময় ধরে লালগড়ের জঙ্গলে বাঘের খোঁজ চলছিল ৷ বাঘ ধরতে গিয়ে বদ্ধ গাড়িতে দুই বনকর্মীর মৃত্যু হয় ৷ ড্রোন ক্যামেরা, ট্র্যাপ বসালেও ধরা পড়েনি বাঘ ৷ অবশেষে ১৩ এপ্রিল জঙ্গল থেকে বল্লম বিদ্ধ বাঘের দেহ উদ্ধার হয় ৷