প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোট ১৬টি বিল পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলি হল, তথ্য সংরক্ষণ বিল, সমবায় সংশোধন বিল, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ বিল এবং বন সংরক্ষণ সংশোধনী বিল, ইত্যাদি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন উষ্মাপ্রকাশ করে বলেন, সংসদেও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা হবে কি না তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কেন্দ্রের এই সরকার কারও তোয়াক্কা করে না। সংবিধান প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব। ঠিক সেই কারণেই দলের সাংসদদের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তিপূর্ণ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছি।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত জুড়ছেন রাহুল, গুজরাতে খা খা করছে রাজীব গান্ধি ভবন! ভবিতব্য় জানতেন কংগ্রেস নেতারাও
আরও পড়ুন: দিনের শুরু থেকেই ত্রিশঙ্কুর ইঙ্গিত হিমাচলে, এবার কি তবে আরও বড় নাটকের অপেক্ষা?
"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে এমন বিল কেন্দ্রীয় সরকার আনলেও আগাম রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনও আলোচনা করা হয়নি। তার ফলে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস রুখে দাঁড়াবে। সংসদের ভেতরে এবং বাইরে প্রতিবাদ জানাবে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, "এই সরকার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে। সবকিছুর উপর অধিকার ফলায়। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সংবিধান প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নিয়েছে।"
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "তবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন অবধি আকাশটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বিজেপি।" বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ লোধি এস্টেটে সৌগত রায়ের বাড়িতে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, সৌগত রায় সুখেন্দুশেখর রায়, জহর সরকার, মালা রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, প্রসূন ব্যানার্জি, নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী-সহ দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা।
তবে, শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি অভিনেতা সংসদ দীপক অধিকারী(দেব)। তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সাংসদদের সংসদে অধিবেশন চলাকালীন কক্ষে উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার কথা বলেছেন। দলের সাংসদদের অনুপস্থিতিতে যেন কোনও বিল পাশ না হয়, সে বিষয়েও দেখার নির্দেশ দিয়েছেন দুই কক্ষের দল নেতাদের।
রাজীব চক্রবর্তী