মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি দেশের বৃদ্ধি এবং অগ্রগতিতে রাজ্যগুলোরও সমান অংশীদারিত্ব আছে। মোদি সরকারের জমানায় সেই সমস্ত অংশীদারিত্বকে কার্যত অস্বীকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লংঘন করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই অভিযোগই এ দিনের বৈঠকে ফের একবার খুঁচিয়ে তুললেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banejee)।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কার ছায়া? জ্বালানির দামে আগুন! জনজীবনে ভোগান্তি চরমে! বাড়ছে ক্ষোভ
advertisement
জাতীয় শিক্ষানীতি ছিল নীতি আয়োগের বৈঠকের অন্যতম অ্যাজেন্ডা। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন জোর করে জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্য গুলোর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার। এই শিক্ষানীতি কার্যকর করার আগে কেন রাজ্যগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি মানবে না তারা। এর জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পৃথক শিক্ষা নীতি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ জনের কমিটিকে। রাজ্যের দাবি দাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, রাজ্যগুলোকে শক্তিশালী করতে হলে তাদের আর্থিক দাবি-দাওয়া মেটাতে হবে।
আরও পড়ুন : স্যাটারডে সাসপেন্স! দুঃসাহসিক 'অপারেশন মোজো' সফলে এক 'C' ফ্যাক্টরের মাস্টার স্ট্রোক...
গত শুক্রবার রাজ্যের আর্থিক দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা রাজ্যের বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের বকেয়া রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি (Mamata Banejee)। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে গ্রামীণ সড়ক যোজনা গ্রামীণ আবাস যোজনার মত প্রকল্পগুলিকে টাকা না দিয়ে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সমস্ত প্রকল্পগুলি গ্রামীন এবং গরীব মানুষের জন্য। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে আর্থিকভাবে অবরুদ্ধ করে দিয়ে গরিব মানুষের অন্নবস্ত্র বাসস্থানে কোপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সমস্ত বিষয়গুলি প্রধানমন্ত্রীর সামনে ফের একবার তুলেছেন তিনি।