একুশের সভা শুরুর কিছু আগে থেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে৷ সভামঞ্চের সামনের জনসমুদ্রে কালো-রঙিন ছাতার মেলা দেখা যায়৷ বৃষ্টিতে ভিজে বক্ৃতা দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-ফিরহাদ হাকিমরা৷ মঞ্চে কথা বলতে উঠেই মমতা বলেন, ‘‘বর্ষাকাল, শ্রাবণ মাস। প্রতিবার আমাদের ভেজায়। এই বৃষ্টিকে আশীর্বাদ ভাবতে পারেন, অথবা ভাবতে পারেন শহিদের চোখের জল।’’
আরও পড়ুন: সঙ্গে ভোজালি-মাদক! মমতার বাড়ির সামনে ভুয়ো পুলিশ, মিলল একগুচ্ছ ভুয়ো আইকার্ড, তুমুল শোরগোল
advertisement
এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরীয় নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান মমতা৷ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে ভাল ফলের জন্য সকলকে অভিনন্দন জানাই৷ তবে বলব, যখন প্রশাসন বলবে, কমিশন বলবে, তখন শান্তিপূর্ণ ভাবে বোর্ড গঠন করবেন।’’
তবে, তেইশের এই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চের বক্ৃতায় মমতার মুখে একে একে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ১০০ দিনের প্রকল্পে বঞ্চনা, বিরোধী জোট, চব্বিশে লোকসভা নির্বাচনের মতো ইস্যু একে একে উঠে এলেও তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়েই ছিল মণিপুর৷
এদিন মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে মমতা বলেন, ‘‘আমরা সলিডারিটি জানাই, মণিপুরের মানুষকে। বাংলা ও INDIA পক্ষ থেকে। বেটি বাঁচাও স্লোগান কোথায় গেল বিজেপি? আজ বেটি জ্বলছে। মণিপুরে, দেশে৷ বিলকিসের ওপর যারা অত্যাচার করেছিল তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। বক্সারদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিলেন না৷ আর মণিপুরে এই অবস্থা৷ আগামীর ভোটে মহিলারা বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।’’
আরও পড়ুন: কালীঘাটের বাড়িতে শহিদ পরিবারের সদস্যেরা, মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেন মমতা
সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মা-বোন-বেটিদের জন্য আপনার মনে কি একটুও দুঃখ হয় না৷ কথায় কথায় বাংলার দিকে আঙুল তোলেন৷ আমার একটাই বিনীত প্রশ্ন আপনার কাছে, আর কতদিন বেটি জ্বলবে, দলিত জ্বলবে, মানুষ মরবে। আর কতদিন? মণিপুর আমরা ছাড়ছি না৷’’
গত কয়েকমাসে মণিপুরে প্রায় ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার সামনে এসেছে মণিপুর মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত ভিডিও৷ আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের বাড়িতে৷ এদিন বিরোধী জোট INDIA তরফে মণিপুরে প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও বলেন মমতা৷ সবশেষে হয় এক মিনিট নীরবতা পালন করার আর্জি জানান মমতা৷