যদিও এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব এবং উদ্ধব ঠাকরের মতো বিরোধী জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রীরা৷
তবে ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার দৌড়ে ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও৷ তবে সূত্রের খবর, নীতীশ নিজেই জোটের চেয়ারপার্সন হতে রাজি হননি৷ এই পদে কংগ্রেস থেকেই কারও থাকা উচিত বলে প্রস্তাব দেন নীতীশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘প্রমাণ হলেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাব’, ইডি বেরিয়ে যেতেই চ্যালেঞ্জ ছু়ড়লেন সুজিত
তবে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেও ইন্ডিয়া জোটের সামনে আসল কাজ পড়ে রয়েছে৷ কারণ অধিকাংশ রাজ্যেই এখনও শরিক দলগুলির সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করতে পারেনি কংগ্রেস৷ তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলি৷
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে আসন ছাড়ার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব৷ কারণ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির দাবি মেনে ৬টি আসন ছাড়তে রাজি হননি মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধান কমল নাথ৷ এখন তারই পাল্টা কংগ্রেসকে দিচ্ছেন অখিলেশ৷ পশ্চিমবঙ্গেও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের দাবি মেনে অতিরিক্ত আসন ছাড়া হবে, এমন কোনও ইঙ্গিত দেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব৷
এর পাশাপাশি দিল্লি এবং পঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টির সঙ্গেও আসন রফা নিয়ে জট কাটেনি কংগ্রেসের৷ কারণ দিল্লিতে মোট চারটি আসনে লড়তে চায় কংগ্রেস৷ অতগুলি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি নয় আপ নেতৃত্ব৷ পঞ্জাবেও কংগ্রেসের দাবি মতো সাতটি আসন ছাড়তে রাজি নয় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল৷ শুধু তাই নয়, গোয়া, গুজরাত এবং হরিয়ানাতেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় আপ৷