ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে৷ লাক্ষাদ্বীপ সফরের সময় সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক বিনোদনের ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এর পরেই লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে ভারতীয়রা তো বটেই, বিদেশী পর্যটকদের কৌতূহলও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যায়৷ বলা ভাল, পর্যটনের ক্ষেত্রে মালদ্বীপকে কড়া চ্যালে়ঞ্জ ছু়ড়ে দিতে শুরু করে লাক্ষাদ্বীপ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটারদেরই দেখা নেই, বাংলাদেশে অত্যন্ত কম ভোটদানের হার! শুরু গণনা
যেহেতু মালদ্বীপ এবং লাক্ষাদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেকটা একই ধরনের, তাই বহু ভারতীয়ই মালদ্বীপের বদলে লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার উৎসাহ দেখাতে শুরু করেন৷
নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের সময়ই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, মালদ্বীপকে চাপে ফেলাই প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য৷ কারণ বর্তমানে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজজুর নেতৃত্বে যে সরকার মালদ্বীপে ক্ষমতায় রয়েছে, তারা চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত৷ গত বছর নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের নতুন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নয়াদিল্লির সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে৷ বরং পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ অনেক বেশি ভারত পন্থী বলে পরিচিত ছিলেন৷
নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে একের পর এক ভারত বিরোধী পোস্ট করতে শুরু করেন মালদ্বীপের কয়েক জন মন্ত্রী এবং সেদেশের শাসক দলের নেতারা৷ এমন কি, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমান করেও পোস্ট করা হয় বলে অভিযোগ৷ বিষয়টি নয়াদিল্লির যেমন নজর এড়ায়নি, সেরকমই বহু ভারতীয় মালদ্বীপের এই ভারত বিরোধী অবস্থানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন৷ সমাজমাধ্যমে অনেকেই প্রমাণ সহ জানিয়ে দেন, তাঁরা মালদ্বীপ সফর বাতল করছেন৷
মালদ্বীপের অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটন ব্যবসার উপরে নির্ভরশীল৷ প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় মালদ্বীপে বেড়াতে যান৷ ফলে ভারতীয়রা বিমুখ হতেই মালদ্বীপ সরকারের টনক নড়ে৷ তড়িঘড়ি বিবৃতি দিয়ে মালদ্বীপ সরকার দাবি করে, মন্ত্রীদের করা ভারত বিরোধী মন্তব্যের দায় একান্তই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির৷ এর সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের কোনওরকম যোগ নেই৷ ভারত বিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমান করে মন্তব্য করার জন্য কয়েকজন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেয় মালদ্বীপ সরকার৷
তবে মালদ্বীপ সরকারের এই তৎপরতাতেও রাগ কমছে না ভারতীয়দের৷ ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের এই ভারত বিরোধী মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন অক্ষয় কুমার, জন আব্রাহাম, শ্রদ্ধা কপূরের মতো তারকারা৷