চিঠিতে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, মহুয়াকে বহিষ্কার করলে তা অত্যন্ত কঠোর শাস্তি হয়ে যাবে এবং তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে৷
আরও পড়ুন: গ্রামে যেতে নারাজ, সরকারি চাকরি পেয়েও নিলেন না বহু হবু শিক্ষক
শনিবার লেখা চিঠিতে অধীর যুক্তি দিয়েছেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের আগে মূলত সাংসদদের আচরণবিধি সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি৷ সেই সমস্ত ক্ষেত্রে অভিযুক্ত সাংসদদের শাস্তিও ভর্ৎসনা, সতর্ক করা অথবা খুব বেশি হলে সাময়িক সাসপেনশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল৷ অধীর দাবি করেছেন, এথিক্স কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত সত্যিই মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হলে তা অত্যন্ত কঠোর একটি শাস্তি হবে এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবও পড়বে৷
advertisement
অধীর অবশ্য দাবি করেছেন, এই চিঠিতে তিনি যা লিখেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত৷ তবে ইতিমধ্যেই মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলি৷ সোমবার মহুয়া ইস্যুতে সংসদ ফের উত্তাল হওয়া একরকম নিশ্চিত৷
আগামিকাল থেকে শুরু হয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন৷ আগামী ৪ ডিসেম্বর এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ কুমার সোনকার এবং কমিটির সদস্য অপরাজিতা সারঙ্গি মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া ৫০০ পাতার রিপোর্ট সংসদে পেশ করবেন৷
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহুয়ার বহিষ্কারের সুপারিশ করে সরকারও একটি প্রস্তাব আনবে৷ সবমিলিয়ে মহুয়ার বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে সংসদে তীব্র শোরগোল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মহুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও খবর৷
শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযৃোগ উঠেছিল কষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে৷ যদিও মহুয়া প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, তিনি যেহেতু সংসদের ভিতরে বাইরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সোচ্চার হন, তাই তাঁকে টার্গেট করে সাজানো চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে৷ গত ৯ নভেম্বর মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি করা রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয় এথিক্স কমিটির বৈঠকে৷ কমিটির ৬ সদস্য রিপোর্টের পক্ষে ভোট দেন৷ ওই রিপোর্টেই মহুয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সংসদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছিল৷ রিপোর্টের সুপারিশ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদরা৷