মহারাষ্ট্র দিবসের দিনেই এযাবৎকালের অন্যতম ভয়াবহ মাওবাদী হামলা। বদলার হুমকি ছিল। মাওবাদী হামলার সতর্কতাও ছিল। তবু একই দিনে দুটি মাওবাদী হামলার সাক্ষী থাকল দেশ। দুটি হামলাই হল মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি গড়চিরৌলিতে।
গড়চিরৌলির কুরখেদা থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে আইইডি বিস্ফোরণ। নিরাপত্তাবাহিনীর কনভয় লক্ষ্য করে হামলা। বিস্ফোরণে উড়ে যায় সি-কম্যান্ডোদের গাড়ি। নিহত হন ১৫ জওয়ান সহ ১৬ জন। আইইডি হামলার পর নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, ৬০ কেজির বেশি বিস্ফোরণ ব্যবহার হয়৷ দুটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা ৷ পেট্রোলিং গাড়িতে ২৫ জন জওয়ান ছিলেন ৷
advertisement
এদিন ভোররাতে গড়চিরৌলির নকোদায় হানা দেয় ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী। দেড় ঘণ্টা ধরে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তাঁরা। বেশ কিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই খবর পেয়েই সেক্টর ক্যাম্প থেকে রওনা হয় সি-৬০ কম্যান্ডোদের ইউনিট।
৪০ জন মাওবাদী নেতা-কর্মীকে খুনের বদলায় নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন সিপিআই ( মাওবাদী) দের নতুন সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজু। গত ২০ এপ্রিল বদলার কথা জানিয়ে বিবৃতি দেন গড়রৌলিতে মাওবাদীদের ইউনিট কম্যান্ডার। ২৫ তারিখ থেকে সপ্তাহভর শহীদ সপ্তাহ পালনেরও ডাক দেয় তাঁরা। তারপরেও এতবড় মাওবাদী হামলা রুখতে কী কোনও উদ্যোগই ছিল না?
মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচন চলার মধ্যেই মাওবাদী হামলা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ১৫ জন জওয়ান সহ ১৬ জনের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মহারাষ্ট্র দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল করে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ প্রশাসন।