ভোটের ফলঘোষণা হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। তারপর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কেটে গেল। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে মহা-জট কাটল না। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির ভাগাভাগির প্রশ্নে, বিজেপি-শিবসেনা ফাটল আরও চওড়া হল। মহারাষ্ট্রের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৮ নভেম্বর। তারমধ্যে সরকার গঠন না হলে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসক জারি হবে। শুক্রবারের পর শনিবারও শিবসেনাকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার। বড় শরিককে যার পাল্টা দিলেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত।
advertisement
শাসক শিবিরের দুই শরিকের বিবাদের মাঝে কৌশলী অবস্থানে এনসিপি-কংগ্রেস। দুই দলই প্রকাশ্যে বলছে, তারা মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী আসনে বসবে। যদিও রাজনৈতিক সূত্রে খবর, তলে তলে সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলছে এনসিপি-কংগ্রেস।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কোনও দলই ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। তবে ১৬১ জন বিধায়ক নিয়ে, সরকার গঠনের ক্ষমতা রয়েছে বিজেপি-শিবসেনা জোটের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে আটকে দু’দলের আলোচনা। আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি চায় শিবসেনা। যা ছাড়ছে নারাজ বড় শরিক বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মহা-জটে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন।