এনসিপি জানিয়েছে, দলে ভাবনাচিন্তা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে৷ সোমবার কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খারগে-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা দেখা করবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে৷ কংগ্রেস এ দিন জানিয়েছে, তারা মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন চায় না৷
আগামী ১২ নভেম্বর অর্থাত্ মঙ্গলবার মাহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে জোটে এনসিপি যাবে কিনা, তা নিয়ে বৈঠক করবে এনসিপি নেতৃত্ব৷ এনসিপি নেতা নবাব মালিকের কথায়, 'আমরা আমাদের বিধায়কদের নিয়ে ১২ নভেম্বর বৈঠক করব৷ যদি শিবসেনা আমাদের সমর্থন চায়, তা হলে শিবসেনাকে ঘোষণা করতে হবে, তাদের সঙ্গে বিজেপি-র আর কোনও সম্পর্ক নেই৷ এনডিএ থেকেও বেরিয়ে যাবে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকেও শিবসেনার সব মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে৷' একই সঙ্গে এনসিপি এও জানিয়েছে, তারা শিবসেনার তরফে এখনও কোনো বার্তা পায়নি৷
এ দিকে বিজেপি মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে পারবে না জানাতেই শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, 'যদি ওদের সংখ্যা না-থাকে, তা হলে কোন মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য এত কথা বলছিল? আমরা যে কোনও মূল্যে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী করব৷'
এ দিন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল ঘোষণা করেন, রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোসিয়ারিকে দল জানিয়ে দিয়েছে, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার মতো সংখ্যা নেই বিজেপির৷ একই সঙ্গে শিবসেনাকে বিজেপি-র বার্তা, এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ুক শিবসেনা৷ প্রসঙ্গত, সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে বিজেপি-কেই সরকার গড়তে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল৷
বিজেপি-র অভিযোগ, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে শিবসেনা জনমতকে অপমান করছে৷ এ দিন কংগ্রেসের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান নরমের বার্তাই দেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত৷ জানান, আদর্শগত ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে পার্থক্য থাকলেও, কংগ্রেসকে শিবসেনা শত্রু মনে করে না৷ একই সঙ্গে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-র দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে কটাক্ষ করে সঞ্জয় রাউত বলেন, ফড়নবীশ ভয়ের রাজনীতি করছে৷ এমনকী এই গোটা অচলাবস্থার জন্য ফড়নবীশকে জার্মান শাসক অ্যাডল্ফ হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি৷
মহারাষ্ট্র ভোটে ১৮৮ আসনের মধ্যে ১০৫টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি৷ শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন৷ সূত্রের খবর, সরকারে শিবসেনার ৫০-৫০ ভাগে রাজি বিজেপি৷ কিন্তু গোল বাঁধছে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে৷ ওই পদে শিবসেনা চাইছে ৫০-৫০৷ বিজেপি তা মানতে রাজি নয়৷