সরকার গঠন নিয়ে জোট শরিকের সঙ্গেই টানাপোড়েন। ৫০: ৫০ ফর্মুলা অর্থাৎ আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি ছাড়া কিছুই মানতে রাজি নয় শিবসেনা। জট কাটাতে মহারাষ্ট্রে গেরুয়া শিবির কী মেকিয়াভেলির শরণ নিল?
ফল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিনই চাপ বাড়াচ্ছে শিবসেনা। হুমকি, হুঁশিয়ারি আসছে। দেবেন্দ্র ফড়নবীশরা কিন্তু অনেক সতর্ক। তাবড় বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বও চুপ।
advertisement
মেকিয়াভেলির পরামর্শ মেনেই কী বিজেপির এই কৌশল? সাড়ে ৬০০ বছর আগে ইতালীয় কূটনৈতিকের পরামর্শ,
যে দাবির অনেক দাবিদার, তা নিয়ে টানাপোড়েন স্বাভাবিক। সবার সমর্থন আদায়ে যিনি সক্ষম হবেন, তিনিই পদের দাবিদার। সংযত আচরণ ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিলেই পদের প্রাপ্তি নিশ্চিত
সেটা মাথায় রেখেই কী সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি? সোমবার দিপাবলীর শুভেচ্ছা জানাতে এনসিপি, কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দলের দফতরে বিজেপি নেতারা। উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি মাতুশ্রীতেও পৌঁছয় মিস্টি, ফুলের তোড়া।
তার আগেই ঘটে গিয়েছে নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যপালের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করে বিজেপি এবং শিবসেনা। রাজভবনে যান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। দু-দলই অবশ্য একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছে।
রবিবার সেনার মুখপত্র ‘সামনা’-য় দলের মুখ্য সচেতক দাবি করেন, ক্ষমতায় ‘রিমোট কন্ট্রোল’ তাঁদের হাতেই রয়েছে। বিজেপি জানাচ্ছে, রিমোট কন্ট্রোল ভোটারদের হাতে। তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই হবে।