ফলটন উপজেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার পদে কর্মরত ওই মহিলা চিকিৎসক নিজের হাতের তালুতে তাঁর মৃত্যুর জন্য দু জনকে দায়ী করে গিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে গোপাল বাদানে নামে একজন সাব ইনস্পেক্টর তাঁকে চার বার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা চিকিৎসক৷ এর পাশাপাশি প্রশান্ত বাঁকর নামে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যুবকের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷
advertisement
এই প্রশান্ত বাঁকরকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসক ফলটনের যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, প্রশান্ত সেই বাড়ির মালিকের ছেলে৷ তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করার আগে ফোনে দীর্ঘক্ষণ প্রশান্তের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷
গোপাল বাদানে নামে অভিযুক্ত সাব ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং প্রশান্ত বাঁকরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷ অন্যদিকে অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর গোপাল বাদানেকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণী চিকিৎসককে দিয়ে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট এবং ভুয়ো ফিট সার্টিফিকেট তৈরি করতে চাপ দিতেন পুলিশ অফিসাররা৷
