মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, উদ্ধব ঠাকরের এই দফায় আর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফেরার সম্ভাবনা নেই। সমীক্ষা অনুযায়ী মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে আবার জিততে পারে বিজেপির জোট। প্রাথমিক গণনায় মহারাষ্ট্রে ১০ আসনে এগিয়ে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে), এনসিপি (অজিত পাওয়ার) জোট৷ ৬ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস-উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা-শরদ পাওয়ারের এনসিপি বিরোধী জোট৷
advertisement
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪২ আসন। ‘মহাগঠবন্ধনে’ এ বার জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে রয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল লিবারেশন। অন্য দিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে এ বার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু), বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস) রয়েছে।
এক দফায় মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আর ভোটগ্রহণ শেষে বুথফেরত সমীক্ষায় কিছুটা হলেও এগিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি। বিজেপি ছাড়াও এই জোটে রয়েছে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ও এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। অন্যদিকে, মহাবিকাশ আঘাড়িতে রয়েছে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পাওয়ারের এনসিপি। তবে প্রায় সব ক’টি সমীক্ষাতেই দু’পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত রয়েছে। অর্থাৎ, মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ‘মহাযূতি’ সরকার এবং ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের ভবিষ্যৎ জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী শনিবার গণনার দিন পর্যন্ত।
লোকসভা নির্বাচনের ছ’মাসের মাথায় মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে আবার জিততে পারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। বুধবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে এক দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট হয়েছে ঝাড়খণ্ডের ৮১টির মধ্যে ৩৮টি বিধানসভা আসনেও।