২২ বছর বয়সি মৃত ওই তরুণীর নাম নিকিতা৷ তিনি উদয়পুরেরই রিকভদেওর বাসিন্দা৷ উদয়পুরের হোটেলের ঘর থেকে যখন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়, রক্তে ভাসছিলেন তিনি৷
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর প্রেমিক বিজয় ভোই৷ প্রবল আক্রোশে বিজয় নিজের প্রেমিকার মাথা বার বার দেওয়ালে ঠুকতে থাকেন৷ নৃশংস এই আক্রমণের জেরেই মৃত্যু হয় ওই নিকিতার৷
advertisement
প্রেমিকাকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে বিজয় নামে ওই যুবক৷ হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সে৷ কিন্তু যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত নিজেই হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয় সে৷
আরও পড়ুন: শুধু সোনম-রাজের প্রেম নয়, রাজা হত্যাকাণ্ডের কারণ আরও বড় কিছু? ইঙ্গিত মেঘালয়ের উপমুখ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে বিজয়ের সঙ্গে নিকিতার পরিচয় হয়৷ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা৷ এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই নিকিতার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে ফেলে তাঁর পরিবার৷ বাগদানও হয়ে যায় ওই তরুণীর৷ বিজয়ের সঙ্গে নিকিতার যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়৷
নিকিতার পরিবারের ধারণা ছিল, বিজয়ের প্রতি আর আসক্ত ছিলেন না নিকিতা৷ এর পরই ওই তরুণীকে ফের উদয়পুরে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দেয় তাঁর পরিবার৷ উদয়পুরে নিজের ভাইয়ের সঙ্গে ভাডা় বাড়িতে থাকতে শুরু করেন নিকিতা৷ বিজয়ও উদয়পুরেরই সেক্টর থ্রি-র বাসিন্দা৷ পেশায় নৃত্যশিল্পী বিজয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতেন৷ নিকিতার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল বিজয়৷
সেই রাগ থেকেই শেষ বার দেখা করার অছিলায় নিকিতাকে উদয়পুরের একটি হোটেলে ডেকে পাঠায় বিজয়৷ হোটেলের ঘরে দু জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়৷ তখনই রাগের মাথায় নিকিতার মাথা বার বার দেওয়ালে ঠুকতে থাকে বিজয়৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর৷ এর পর নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে বিজয়৷ কিন্তু যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হোটেলের ঘর বাইরে থেকে লক করে একটি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয় সে৷ পরের দিন হোটেলের ঘর থেকে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ বিজয়কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷