ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, রায়গাদা জেলার কঞ্জামঝিরা গ্রামের এই দম্পতি একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীর একাংশ এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি, কারণ পুরুষটি মেয়েটির পিসতুতো ভাই। আর এটাই ছিল প্রধান সমস্যা৷ স্থানীয়দের মধ্যে না কি একটি প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল৷ সেই নিয়ম অনুসারে এই ধরনের সম্পর্ককে সম্পূর্ণ রুপে নিষিদ্ধ বা ‘ট্যাবু’ হিসেবে ধরা হয়।
advertisement
দম্পতিকে “শাস্তি” দেওয়ার জন্য উত্তেজিত জনতা তাদের কাঁধে বলদের মতো করে একটি কাঠের জোয়াল বেঁধে দেয়। শত শত গ্রামবাসীর সামনে, যারা নীরব দর্শক হয়ে এই অমানবিক দৃশ্য দেখছিল, তাদের দিয়ে একটি কাঠের লাঙ্গল টেনে মাঠ চাষ করানো হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, দু’জন পুরুষ লাঙ্গল টানার সময় দম্পতিকে লাঠি দিয়ে মারধরও করছিল।
এই প্রকাশ্য অপমানের পর, দম্পতিকে গ্রামের মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তথাকথিত “শুদ্ধিকরণ” আচার-অনুষ্ঠান করতে বাধ্য করা হয়। এই আচারগুলি তাদের “নৈতিক লঙ্ঘন” পরিষ্কার করার জন্য করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার এস স্বাতী কুমার শুক্রবার জানিয়েছেন, একটি দল গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং দ্রুত একটি মামলা দায়ের করা হবে। এই ধরনের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং ভারতের আইন অনুযায়ী এটি একটি গুরুতর অপরাধ। জোরপূর্বক শ্রম এবং প্রকাশ্য অপমান শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আশা করা যায়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এমন অমানবিক প্রথা ভবিষ্যতে বন্ধ হবে।