গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রতিবেশী বিবাহিত মহিলার দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার, যখন মহিলার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না, তখন তিনি তার প্রেমিককে ঘরে ডেকে আনেন। দুজন যখন ঘরের ভেতরে ছিলেন, তখনই হঠাৎ মহিলার স্বামী এসে পড়েন এবং তাদের আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলেন।
আরও পড়ুন: জামাইবাবুকে গভীর রাতে বোরখা পরে আসতে বলল শালী! তারপর যা হল তাতেই উড়ে গেল দিদির ঘুম…
advertisement
এই দৃশ্য দেখে স্বামী রেগে যান এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এরপর তিনি প্রেমিকের স্ত্রীকে খবর দেন। প্রেমিকের স্ত্রী দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিলে ঘরের দরজা খুলে দুজনকে টেনে বের করেন।
এরপর দুজনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে লাঠি, জুতা এবং চপ্পল দিয়ে মারধর করা হয়। আশ্চর্যের বিষয়, গ্রামের কেউই তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করা হয় এবং সেটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
গ্রামে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দুপক্ষকেই থানায় নিয়ে যায়। থানার ইনচার্জ হরিশ কুমার জানিয়েছেন, তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, জানা গেছে যে প্রেমিক-প্রেমিকা ভিন্ন সম্প্রদায়ের। পাঁচ বছর ধরে তারা সম্পর্কে ছিলেন এবং গ্রামবাসীরা অনেকবার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা শোনেননি। ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এসপি কী বললেন? সম্ভল জেলার এসপি কে. কে. বিষ্ণোই জানিয়েছেন, “আমরা খবর পেয়েছি যে কেশরপুর গ্রামে মমতা নামে এক বিবাহিত মহিলা এবং দানিশ নামে এক যুবকের মধ্যে পাঁচ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। দানিশের স্ত্রী জারিনা এবং মমতার স্বামী তোতারাম তাদের ধরে মারধর করেন। ঘটনার পর দুই পক্ষকেই থানায় এনে কথা বলা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
এখন পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।